ধর্মতলায় ধর্মান্তকরণের উসকানিতে উত্তাল পরিস্থিতি, গ্রেফতার হিন্দু সংহতির উপদেষ্টা
কলকাতার রাজপথে প্রকাশ্যে ধর্মান্তকরণের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল হিন্দু সংহতি মঞ্চের উপদেষ্টা তপন ঘোষকে। তপন ঘোষ ছাড়াও গ্রেফতার করা হয় আরও তিনজনকে।
কলকাতার রাজপথে প্রকাশ্যে ধর্মান্তকরণের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল হিন্দু সংহতি মঞ্চের উপদেষ্টা তপন ঘোষকে। তপন ঘোষ ছাড়াও গ্রেফতার করা হয় আরও তিনজনকে। তাঁরাও হিন্দু সংহতির নেতা-কর্মী। বুধবার রানি রাসমণি রোডে যে পরিবারকে ধর্মান্তকরন করা হয়, সেই পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যেতেই সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন হিন্দু সংহতির নেতা-কর্মীরা। তারই জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
এই ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নিন্দা করেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলা নিন্দনীয়। এই কাজ যাঁরা করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সঙ্গে সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন পুলিশকে। এরপরই সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ-প্রশাসন। হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ তপন ঘোষকে প্রথম আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় আরও তিনজনকে।
অভিযোগ উঠেছিল, পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও তাঁদের ভূমিকা ছিল দর্শকের। হিন্দু সংহতি মঞ্চের সভ্য-সদস্যরা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর পুলিশ তৎপর হয়ে গ্রেফতার করে উপদেষ্টা তপন ঘোষকে। এদিন সাংবাদিকরা ধর্মান্তরিত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে যেতেই রণং দেহি মূর্তি ধারণ করেন হিন্দু সংহতির সভ্যরা। ওই পরিবারের পরিচয় জানার জন্য প্রশ্ন করতেই চড়াও হয়ে সাংবাদিকদের মারধরও করা হয়।
এর আগে সভামঞ্চ থেকে নানা উসকানিমূলক মন্তব্য করা হয়েছিল। সেই উসকা্নিমূলক নিন্দনীয় মন্তব্যের পরই উল্লাসে ফেটে পড়ছিলেন হিন্দু সংহতির সভ্যরা। হিন্দু সংহতির উপদেষ্টা তপন ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি উসকানিমূলক বিবৃতি ছড়িয়েছেন সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে। তারই জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। জার জেরে রক্তাক্ত হন সাংবাদিকরা। ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হয়। সাংবাদিকদের উপর এই হামলার ঘটনার নিন্দা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'আমরা এই ঘটনাকে সমর্থন করি না।'