মুর্শিদাবাদে জোড়া খুন! দুই কংগ্রেসকর্মী খুনে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি অধীরের
প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তৃণমূল কংগ্রেস মুর্শিদাবাদে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। যতই পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে তৃণমূল ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে, অভিযোগ অধীর চৌধুরীর।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সভার আগে-পরে জোড়া খুন মুর্শিদাবাদে। সোমবার জোড়া কংগ্রেসকর্মী খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরে। অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকা সন্ত্রস্ত করতেই এই খুনের ঘটনা। এই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।
পুলিশ জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরের মিঞাগ্রামে শনিবার রাত থেকেই বোমাবাজি শুরু হয়েছিল। তারই জেরে জেরে মৃত্যু হয় সফিকুল শেখ (২৮)-এর। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হন মিঠু শেখ নামে অপর এক কংগ্রেসকর্মী। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা তাঁকে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ইদের নিমন্ত্রণ সেরে ফিরছিলেন। রবিবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তৃণমূল কংগ্রেস এখানে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। যতই পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে তৃণমূল ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে। এবং এলাকায় এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
অধীরবাবু সভা শেষে মৃত সফিকুলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, পরিকল্পনা করে কংগ্রেস কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে কংগ্রেসকে শেষ করা যাবে না। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ার ডাক দেন তিনি। অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার না করা হলে রাস্তায় নামবে কংগ্রেস।
সোমবার ফের একজন কংগ্রেস কর্মীর রহস্য-মৃত্যু হয়। শক্তিপুরের পাট খেত থেকে ইছারুল শেখ (৪৭) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনিও কংগ্রেসকর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন এলাকা। ইছারুলকে খুন করে পাট খেতে দেহ ফেলে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস। জোড়া খুনের তদন্ত চাওয়া হয়েছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সফিকুলের মৃত্যুর সঙ্গে ইছারুলের মৃত্যুর কোনও যোগ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।