মমতাকে নিয়ে নরম হলেও সিপিএম-সঙ্গ ভুলতে পারছেন না অধীর
কংগ্রেসের সমর্থনে রাজ্যসভা ভোটে তাঁরা প্রার্থী হতে চান না বলে কেন্দ্রীয় কমিটি মত দিয়েছিল। তারপর নোয়াপাড়ায় কংগ্রেস প্রার্থীকে তারা সমর্থন করবে কি না, তা এখন দোদুল্যমান।
হাইকম্যান্ডকে থোড়াই কেয়ার, অধীর আছেন অধীরেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণের ঝাঁঝ তিনি কমাতে পারেন, কিন্তু এখনই অধীর চৌধুরী বামসখ্যতা ছাড়়তে চান না। মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিধায়ক মধুসূদন ঘোষের মৃত্যুতে ফাঁকা হওয়া উত্তর ২৪ পরগনার নোয়াপাড়়া আসনে বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করতে চান তিনি।
এই বিষয়ে হাইকম্যান্ডের সঙ্গে কথাও বলতে চান অধীরবাবু। বাম নেতৃত্ব কী করবে এখনও তা চূড়ান্ত নয়। সম্প্রতি রাজ্যসভায় সীতারাম ইয়েচুরিকে প্রার্থী করা নিয়ে ঘোর বিতর্ক বাধে কংগ্রেস ও সিপিএমের মধ্যে। দু-দলের মধ্যে সখ্যতা ভেঙে যায়। কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্যের দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেয় তৃণমূল।
আর তাতেই সিপিএমের পরিকল্পনা জোর ধাক্কা খায়। রাজ্যে সিপিএম ও কংগ্রেসের সম্পর্কও তলানিতে পৌঁছে যায়। এই অবস্থায় সিপিএমকে সঙ্গে নিয়েই বিধানসভা উপনির্বাচনে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন অধীর চৌধুরী। তাঁর যুক্তি, গত বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমকে সঙ্গে নিয়েই জিতেছিলেন এই কেন্দ্রে। এবারও তার অন্যথা করতে চান না। মধুসূদন দত্তের ইমেজ আর বামসঙ্গে তৃণমূলকে এই কেন্দ্রে পরাজিত করে কংগ্রেস। বিনা যুদ্ধে সেই কেন্দ্র তৃণমূলকে ছেড়ে দিতে অনিচ্ছুক অধীরবাবু।
এদিন অধীরবাবু বলেন, নোয়াপাড়া আসনে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে এই আসনে লড়ব আমরা। দিল্লি নেতৃত্ব কিছু চাপিয়ে দিলে তা মেনে নেওয়া হবে না। আমরা তা নিয়ে হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনা করব। আমাদের প্রস্তাব পেশ করব। এই আসনে বামেদের নিয়ে লড়ার কারণও যে যথার্থ তাও আমরা বুঝিয়ে দেব।
কংগ্রেসের সমর্থনে রাজ্যসভা ভোটে তাঁরা প্রার্থী হতে চান না বলে কেন্দ্রীয় কমিটি মত দিয়েছিল। তারপর নোয়াপাড়ায় কংগ্রেস প্রার্থীকে তারা সমর্থন করবে কি না, তা এখন দোদুল্যমান। এক্ষেত্রে তৃণমূল ফের কী চাল দেয়, সেটাও দেখার। রাজনৈতিক মহলের মত, সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অধীরের পক্ষে যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই যায়।