অপসারিত অধীর, লোকসভার আগে প্রদেশ কংগ্রেসে বড়সড় রদলবদল ঘটিয়ে দিলেন রাহুল
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হলেন অধীর চৌধুরী। লোকসবার আগে রাজ্যে বড়সড় রদবদল ঘটিয়ে দিলেন সভাপতি রাহুল গান্ধী।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হলেন অধীর চৌধুরী। লোকসভার আগে রাজ্যে বড়সড় রদবদল ঘটিয়ে দিলেন সভাপতি রাহুল গান্ধী। অধীর চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হলেন সোমেন মিত্র। তিনি আগেও এই দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘদিন। লোকসভা ভোটের আগে ফের তাঁর উপরই আস্থা রাখলেন রাহুল। অধীর হলেন প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান।
অধীর চৌধুরীর মেয়াদ শেষ হয়েছিল কিছুদিন আগেই। তবু তিনিই দায়িত্বে ছিলেন রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নির্ধারিত থাকার জন্য। পঞ্চায়েত ভোট কেটে যাওয়ার পর যে কোনওদিন বড়সড় রদবদল ঘটার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু কে অধীর চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হবেন, তা নিয়ে ছিল ধন্দে। অবশেষে সোমন মিত্রের উপরই ভরসা রাখা হল।
Congress President Rahul Gandhi appoints Somendra Nath Mitra as President, PCC and Adhir Ranjan Chowdhury as Chairman, Campaign Committee in the state of West Bengal.
— ANI (@ANI) September 21, 2018
২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রদেশে কংগ্রেসে খানিক জোয়ার এসেছিল। একইসঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের সঙ্গে জোট করে তৃণমূলকে শাসন ক্ষমতা থেকে সরানোর লড়াইয়ে নেমেছিলেন।
সেই লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া চ্য়ালেঞ্জের মুখে দাঁড়় করালেও সেই লড়াইয়ে হারের পর অধীর চৌধুরীকে জোর ধাক্কা দিতে শুরু করে তৃণমূল। ২০১৬ সালের পর থেকে ২০১৮ সাল মাত্র দুবছরেরই কংগ্রেসে ভাঙন ধরে। ২০১৬ সালে কংগ্রেস বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল হলেও ১২ জন বিধায়ক পরবর্তী সময়ে দল ছাড়েন।
এদিকে সোমেন মিত্র আগেও প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব সামলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন যুব কংগ্রেস সভানেত্রী, তখন সোমেন মিত্র ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সোমেনের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকাকালীনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মতভেদ তৈরি হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস গড়ে তোলেন। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর বলেন, আমি দায়িত্ব পেয়েছি, দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব।