রাহুলের উপর অভিমানী অধীর! প্রদেশের কংগ্রেসের সদ্য প্রাক্তনী দিলেন ‘অন্য’ ইঙ্গিত
প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিছুই জানানো হয়নি তাঁকে। এআইসিসির তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই অভিমান ঝরে পড়ল অধীর চৌধুরীর গলায়।
প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিছুই জানানো হয়নি তাঁকে। এআইসিসির তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই অভিমান ঝরে পড়ল অধীর চৌধুরীর গলায়। তিনি বলেন, হাইকম্যান্ডের কাছে তিনি এটুকু সৌজন্য আশা করতেই পারেন। এমন অভিযোগও করলেন সদ্য প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান করা হল। এই ঘটনায় তিনি যে হাইকম্যান্ডের প্রতি ক্ষুব্ধ তা আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়েই দিলেন অধীর। যদিও সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন না, অভিমানী হয়েই বুঝিয়ে দিলেন তাঁর মনের ভাব। রাহুল গান্ধীর পছন্দের তালিকায় থাকা সত্ত্বেও তিনি হাইকম্যান্ডের এই ব্যবহারে ব্যথিত হয়েছেন বলেও জানিয়ে দিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের সঙ্গে জোটের রাস্তা ক্লিয়ার করতেই সভাপতি বদল! অধীরের হয়ে সাফাই দিলীপের]
অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর আমলে প্রদেশ কংগ্রেস ক্ষমতা হারাচ্ছে, ক্রমশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে শেষ দু-বছরে কংগ্রেসের ভাঙন-রোগ ঠেকাতে পারেননি অধীর চৌধুরী। এই ব্যর্থতা বারবারই হাইকম্যান্ডের কানে গিয়েছে। বহু প্রভাবশালী নেতা কংগ্রেস ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাতেই অধীরের ব্যর্থতা প্রকট হয়।
[আরও পড়ুন:লোকসভার আগে বড়সড় রদবদল কংগ্রেসে, কে সরলেন-কে এলেন গুরুদায়িত্বে একনজরে ]
এদিন তাঁর অপসারণেকর খবর প্রকাশ্যে আসার পর অভিমানের সুরে অধীর বলেন, এ বিষয়ে আগে থেকে কিছুই জানতাম না। কোনও কিছুই আগে থেকে না জানিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এই অভিমানের কী বহিঃপ্রকাশ হয়, এখন সেটাই দেখার। অভিমানী অধীর কি কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হয়ে কোনও কঠিন সিদ্ধান্ত নেবেন, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি তিনি।
[আরও পড়ুন: বিজেপি বলছে জালিয়ানওয়ালাবাগ-কাণ্ড, বিজেপি-আরএসএসের দায় বলছেন পার্থ, তরজা জমজমাট]