বিজেপিকে রুখতে মালদহে তৃণমূলের হাতে ‘হাত’ কংগ্রেসের, সায় নেই অধীরের
ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতে বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূলের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল মালদহ কংগ্রেস। জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নুরের এই ঘোষণার পরই প্রদেশ কংগ্রেসে বিভাজন প্রকাশ্যে।
ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতে বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূলের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল মালদহ কংগ্রেস। জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নুরের এই ঘোষণার পরই প্রদেশ কংগ্রেসে বিভাজন প্রকাশ্যে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সাফ জানিয়ে দিলেন, এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে নেওয়া হয়নি। পঞ্চায়েত নিয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, সেখানে প্রদেশের কোনও ভূমিকা থাকতে পারে না।
পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে সমর্থনের এই সিদ্ধান্ত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানান, দলকে না জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা একেবারেই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। অনেক ক্ষেত্রে দেখবেন তৃণমূল ও বিজেপি জোট গড়ে পঞ্চায়েতের বোর্ড করছে। তার মানে কি তৃণমূল ও বিজেপি জোট করছে?
অধীরবাবু এ প্রসঙ্গে বলেন, সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপির বিরোধিতা করা আমাদের দলীয় অ্যাজেন্ডা। আমরা সেটা করছি। কিন্তু রাজ্যে এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি যে, বিজেপি বিরোধিতায় আমরা তৃণমূলের হাতে হাত রেখে চলব। মালদহ কেন অন্যান্য জেলায় যে সমস্ত বোর্ড গঠনে জোট হচ্ছে, তার সঙ্গে প্রদেশের কোনও মদত নেই।
এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস জেলা নেতৃত্বও কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তে খুশি। স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি জানিয়েছেন, এটা আগেও হতে পারত। মালদহে যদি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা ভালোই। তবে বহু ক্ষেত্রে কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে। বিজেপিকে আটকাতে কংগ্রেস যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।
কংগ্রেস জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নুর বলেন, হাইকম্যান্ডও চাইছে বিজেপিকে আটকাতে রাজ্যেও আমরা তৃণমূলের সঙ্গে চলি। তাই তৃণমূলকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তৃণমূলও আমাদের সমর্থন করছে, আমরা আলোচনা করে পঞ্চায়েত গড়ছি, যাতে বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া না দেয়।
উল্লেখ্য, গনিখান চৌধুরীর মালদহে এতদিন শেষ কথা ছিল কংগ্রেস। কিন্তু এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে তাদের। ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে জেতে কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রসে দখল করে ৫১টি গ্রাম পঞ্চায়েত। বিজেপি জেতে ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ৪৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়।