মমতা ঝোলেও আছেন, অম্বলেও আছেন! তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্ব-বিরোধিতার নালিশ অধীরের
রাজ্যের শাসকদলের দ্ধান্তকে স্ব-বিরোধিতা বলে ব্যাখ্যা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কটাক্ষ করেন, উনি ঝোলেও আছেন, আবার অম্বলেও আছেন।
পেট্রোপণ্যের অগ্নিমূল্যের প্রতিবাদে কংগ্রসের ডাকা বনধকে সমর্থন করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বনধের ইসুকে সমর্থন করে তৃণমূল পথে নামছে ওইদিন। রাজ্যের শাসকদলের এই সিদ্ধান্তকে স্ব-বিরোধিতা বলে ব্যাখ্যা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে একহাত নিয়ে বলেন, উনি ঝোলেও আছেন, আবার অম্বলেও আছেন।
তৃণমূলের বনধ-অবস্থানকে কটাক্ষ করে অধীর বলেন, সোমবার ভারত বনধের সমর্থনে রাহুল গান্ধীর ডাকে সাড়া দিয়েছেন বিজেপি বিরোধী সমস্ত দলগুলিই। বামেরাও পৃথক বনধ ডেকে সমর্থনের হাত বাড়িয়েছেন কংগ্রেসের দিকে। কিন্তু তৃণমূল বনধের বিরোধিতার নামে যে কর্মসূচি নিয়েছে, তাতে স্ব-বিরোধিতাই প্রকট হচ্ছে বলে অভিযোগ অধীরের।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের উচিত পেট্রোপণ্যের উপর থেকে ভ্যাট তুলে নেওয়া। এক্ষেত্রে তিনি কেরল ও পুদুচেরি সরকারের উদাহারণ তুলে ধরেন। বলেন, কেরল-পুদুচেরির মতো বাংলার সরকারও পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমাতে ভ্যাট তুলে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক। এদিন তিনি জানান, বনধের সমর্থনে বামেদের সঙ্গে একত্রে পথে নামবে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন:মায়ের কাছে মাথা ঠুকে কৌশিকী অমাবস্যায় কী প্রার্থনা তৃণমূলের কেষ্টর! দেখুন ভিডিও]
বনধের বিরোধিতা করে তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কর্মনাশা বনধকে তারা সমর্থন করে না। তারা বনধের বিরোধী, তবে যে ইস্যুতে বনধ হচ্ছে, সেই ইস্যুকে তারা সমর্থন করেন। তাই পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কলকাতায় মিছিল করবে তারা। তারই পাশাপাশি ছুটি নিয়ে কড়া নির্দেশিকা যেমন জারি করা হয়, রাস্তায় গাড়ি নামাতে মালিকদের অভয় দান করে ভাঙচুর হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। এজন্য বিমা কোম্পানির সঙ্গেও চুক্তি করা হয়।
[আরও পড়ুন: বিরোধী জোট ছিন্নভিন্ন করতে ছক অমিতের! রাহুলের শিবিরে ভাঙন ধরাতে 'নেত্রী'কে প্রস্তাব ]
তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেই অধীর বলেন, আসলে তৃণমূল ঝেলেও থাকবে, আবার অম্বলেও থাকবে। সেইজন্যই এমন দোরোখা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত স্ববিরোধিতা বলে বর্ণনা করেন তিনি। তৃণমূল এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিজেপির বিরোধিতা করছে বলে দেখানোর চেষ্টা করছে। এদিকে বিরোধিরা যখন একজোট তখন তৃণমূল পৃথকভাবে হাঁটছে। আবার মিছিল করে তৃণমূল ভিন্ন বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজনৈতিক মহলে।
[আরও পড়ুন:পঞ্চায়েত-হিংসায় গুলিবিদ্ধ একরত্তি শিশুর প্রাণপণ সংগ্রাম, এসএসকেএমে ভর্তিতে হয়রানি]