বাংলায় গণতান্ত্রিক বিপর্যয়ে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাচ্ছেন মমতা, তোপ অধীরের
রাজ্যে গণতান্ত্রিক বিপর্যয়ের জন্য সম্পূর্ণ দায়ী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধীরবাবু বলেন, নিজের দোষ-অহঙ্কার ঢাকতে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মামলা ঝুলছে হাইকোর্টে। এই ঘটনাকে গণতান্ত্রিক বিপর্যয় বলে ব্যাখ্যা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আর এই অবস্থার জন্য তিনি সম্পূর্ণ দায়ী করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অধীরবাবু এদিন বলেন, নিজের দোষ, অহঙ্কার ঢাকতে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারই জেরে বাংলায় আজ গণতান্ত্রিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
এদিন হাইকোর্টে শুনানি শেষে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, মনোনয়নের দিন যদি একদিন বাড়ানো হত, তাহলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত? আসলে উনি নিজের দোষ স্বীকার করতে জানেন না। যদি জানতেন তাহলে এই সংকট তৈরি হত না। বাংলার গণতন্ত্রও বিপন্ন হত না। এখন তাই ওনাকে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাচ্ছেন।
এদিন অধীরবাবু বলেন, রাজ্য সরকার যদি মনে করত, তাহলে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারত। রাজ্য সরকার চাইলে মানুষের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন উৎসবের আদলে পালন করা যেত। কিন্তু রাজ্য সরকার তা চান না। মুখ্যমন্ত্রী তো নিজেকে আইনজীবী বলেন। তাহলে উনি হাইকোর্টে এসে যদি বলতেন, সুষ্ঠু ও অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাব। পঞ্চায়েত ভোট প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি দিন, তাহলে সেটাই তো হত রাজ্যবাসীর বড় পাওনা। কিন্তু সেই স্বীকারোক্তি কি উনি করবেন, কখনই করবেন না।
এদিন হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে আড়াই ঘণ্টা ধরে সওয়াল করলেন তৃণমূল সাংসদ কথা রাজ্য সরকারের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবু এই মামলায় কোনও লাভ হল না। কল্যাণবাবুর আড়াই ঘণ্টার সওয়ালকে বিদ্রুপ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বলেন সুপ্রিম কোর্টের রেপারেন্স টেনে উনি এত প্রলম্বিত করেছেন সওয়াল যে, তা মনে রাখা নোবেল প্রাইজ পাওয়ার মতোই কাজ।
[আরও পড়ুন:কল্যাণের আড়াই ঘণ্টা সওয়াল, মনে রাখতে পারলে নোবেল পেতাম, বিদ্রুপ অধীরের]