বিজেপিতে যোগ নিয়ে 'গাঁজাখোরি গল্প' রটাচ্ছে তৃণমূল, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ অধীরের
রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের হাতছাড়া হতেই দীপা দাশমুন্সি ও অধীর চৌধুরীকে দলে নিতে মুকুল রায় অধীর চৌধুরীর বাড়িতে নৈশভোজে যাচ্ছেন বলে খবর রটেছিল সম্প্রতি। অধীর চৌধুরী এই ঘটনাকে গ্যাজাখোরি গল্প বলে
রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের হাতছাড়া হতেই দীপা দাশমুন্সি ও অধীর চৌধুরীকে দলে নিতে মুকুল রায় অধীর চৌধুরীর বাড়িতে নৈশভোজে যাচ্ছেন বলে খবর রটেছিল সম্প্রতি। অধীর চৌধুরী এই ঘটনাকে গাঁজাখোরি গল্প বলে উড়িয়ে দিলেন। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এইসব রটাচ্ছে। আমি কংগ্রেস ছিলাম, কংগ্রেস আছি কংগ্রেসে থাকব।
অধীর চৌধুরী আবারও বিজেপিতে যোগদানের গুজব উড়িয়ে দেন। নিজেকে কংগ্র্সের একনিষ্ঠ কর্মী বলে দাবি করেন। বলেন কংগ্রেস ছিলাম, কংগ্রেসই থাকব। তৃণমূল যতই চেষ্টা করুক আমাকে সরাতে পারবে না। আসলে বহরমপুরে মুসলিম ভোট ভাগ করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে রটাচ্ছে।
অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূলের এখন একটাই লক্ষ্য মুসলিম ভোটারদের আমার প্রতি অনাস্থা তৈরি করা। তা না হলে বহরমপুরে তৃণমূলের জামানত জব্দ হবে বলে দাবি করেন অধীর চৌধুরী। যদিও বিজেপি অন্যরকম দাবি করেন, এ প্রসঙ্গে আবার উঠে আসে, বিজেপি আসলে প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না, তাই এমন সব দাবি করছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সব্যসাচীর বাড়িত হানা দিয়ে তৃণমূলকে নড়িয়ে দিয়েছেন মুকুল। সব্যসাচীকে নিয়ে ব্যস্ত করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্বকে। এবার কংগ্রেসকে এলোমেলো করে দিতে টোপ দিয়ে বঁড়শিতে গাঁথতে চাইছেন অধীর চৌধুরী ও দীপা দাশমুন্সিকে। সেই কারণেই রাজনৈতিক মহলে রটানো হয়েছে নৈশভোজের তত্ত্ব।
এখনও মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের প্রাণভোমরা বলতে অধীর চৌধুরী আর রায়গঞ্জে দীপা দাশমুন্সি। দুজনকে জালে তুলতে পারলে কংগ্রেসের কোমর ভেঙে দেওয়া যাবে। কংগ্রেস সুর তুলেছিল, রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসনটি না পেলে সিপিএমের সঙ্গে জোট হবে না। রাহুলের হস্তক্ষেপে সেই পণ থেকে সরে আসতে হয়েছে।