বাঁকুড়ায় গৃহবধূর রহস্য মৃত্যু! ফের ময়নাতদন্তের দাবি বাপের বাড়ির
বাঁকুড়ার কমলামাঠে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় খুনের অভিযোগ পরিবারের। মৃতদেহের ফের ময়নাতদন্তের দাবি। মৃত অর্পিতা আটার বাপের বাড়ি সোনারপুরের রেনিয়ায়।
বাঁকুড়ার কমলামাঠে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় খুনের অভিযোগ পরিবারের। মৃতদেহের ফের ময়নাতদন্তের দাবি। মৃত অর্পিতা আটার বাপের বাড়ি সোনারপুরের রেনিয়ায়। দম্পতির একটি ছেলে রয়েছে।
২০০৮ সালে সোনারপুরের রেনিয়ার অর্পিতার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বাঁকুড়া সদর থানার কমলামাঠের পিন্টু আটার। বিয়ের পর থেকেই পণের টাকার দাবিতে অর্পিতার ওপর অত্যাচার চলত বলে অভিযোগ পরিবারের। জমি ও ব্যবসার জন্য কুড়ি লক্ষ টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ অর্পিতার পরিবারের। কিন্তু ওই টাকা অর্পিতার পরিবার দিতে পারনি। পণের টাকা না দেওয়ার খুন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অর্পিতার মামি বাসন্তি রায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে স্বামী পিন্টু ফোন করে জানায়, অর্পিতা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপর বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বাঁকুড়ায় পৌঁছয় অর্পিতার বাপের বাড়ির সদস্যরা। সেই সময় দেহের ময়নাতদন্তের কাজ সম্পূর্ণ করে দেহ প্লাস্টিকে মোড়া ছিল বলে দাবি অর্পিতার বাপের বাড়ির সদস্যদের। সেই অবস্থাতেই দেহ কলকাতায় আনা হয়।
অর্পিতার পরিবারের দাবি, বুধবার সকালে গড়িয়া শ্মশানে দাহ করার সময় দেখা যায় দেহের নানা জায়গায় কাটা দাগ এবং সিগারেটের ছেঁকার মতো দাগ। তবে গলায় দড়ি দিয়ে ঝোলার কথা বললেও, গলায় কোনও দাগ তাঁরা দেখতে পাননি বলে দাবি।
বিষয়টি নিয়ে পরিবারের তরফে সোনারপুর থানায় জানানো হয়। দেহের ফের ময়নাতদন্তের দাবি ওঠে পরিবারের তরফে। পরিবারের অভিযোগ, অর্পিতার ওপর মানসিক অত্যাচারের সঙ্গে অর্থের দাবি করে শারীরিক নির্যাতন করা হত।