বিজেপির রথের চাকা গড়াবে না বাংলায়, শুধু মমতার নির্দেশের অপেক্ষায় অভিষেক
অসম গণহত্যার প্রতিবাদে মহামিছিল শেষে পথসভায় বিজেপিকে নিশানা করলেন তিনি। তাঁর হুঁশিয়ারি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমতি করলে, বাংলায় বিজেপির একটি রথের থাকাও গড়াবে না।
অসমে পাঁচ বাঙালিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে খুনের পর প্রতিবাদের ঝড় উঠছে বাংলায়। ঝড় উঠেছে কলকাতাতেও। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল মহামিছিল করে গর্জে উঠল বিজেপি বিরুদ্ধে। মহামিছিল শেষে পথসভায় বিজেপিকে নিশানা করলেন তিনি। তাঁর হুঁশিয়ারি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমতি করলে, বাংলায় বিজেপির একটি রথের থাকাও গড়াবে না।
একেবারে নাম করে করে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানা করেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষদের। প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন, বাংলায় বিজেপির চাকা এতটুকুও গড়াবে না, যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেলে বিজেপির রথের একটা চাকাও থাকবে না। রূপা হন বা লকেট, কিংবা রাহুল সিনহা, মুকুল রায় বা দিলীপ ঘোষ- কারও রথের চাকা গড়াবে না বাংলায়।
অসমে পাঁচ বাঙালিকে নৃশংস খুনের প্রতিবাদে এদিন পথে নামে তৃণমূল কংগ্রেস। যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ড থেকে কালো পতাকা নিয়ে মহামিছিল করে হাজরা মোড়ে হয় পথ সভা। সেই সভা থেকে অভিষেক হুঙ্কার ছাড়েন, বিজেপি অতি বাড় বেড়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতে হিংসা ছড়াচ্ছে পরিকল্পনা করে। বাংলার বুকেও তাঁরা হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন অসমে বাঙালিদের খুন করা হল নৃশংসভাবে, কই বাংলায় তো ভিনরাজ্যের মানুষকে খুন করা হয় না। আমরা মনে করি অতিথি দেব ভবঃ। আমরা ভিনরাজ্যের মানুষকে দবতা রুূপে দেখি। আর বিজেপির সরকার রাজ্যে রাজ্যে কী করে বেড়াচ্ছে একবার দেখুন।
বাংলায় আবার ওরা রথযাত্রা করতে আসছে। আসলে ওদের উদ্দেশ্য হল, বাংলায় আগুন জ্বালানো। কিন্তু বাংলায় কোনও আগুন জ্বালাতে আমরা দেব না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমতি দিলে, ওদের রথের টাকাই আমরা গড়াতে দেব না। একটি রথের চাকাও থাকবে না। রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়েদের প্রত্যক্ষ চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: ছাত্র হত্যার পরও আন্দোলন জারি দাড়িভিটে, স্কুল-বন্ধে কড়া পদক্ষেপ শিক্ষা দফতরের]
উল্লখ্য, মোদীরী ব্রিগেড সমাবেশের প্রাক্কালে বাংলায় রথযাত্রা কর্মসূচি নেয় বিজেপি। সেই কর্মসূচিতে তিনটি রথ পুরো বাংলা প্রদক্ষিণ করবে, প্রতিটি কেন্দ্রে সভা করবে। তৃণমূল আশঙ্কা করছে, এই রথযাত্রার মাধ্যমে বিজেপি হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা চালাবে। তার মোকাবিলা করতে হবে কড়াভাবেই। কোনওমতেই হিংসা ছড়িয়ে বাংলাকে উত্তপ্ত করতে দেওয়া যাবে না। সেজন্যই এদিন মঞ্চ থেকে বিজেপিকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন তিনি।
[আরও পড়ুন:কলকাতায় আছড়ে পড়ল বিক্ষোভের ঢেউ, অসমে বাঙালি-নিধনে তৃণমূলের মহামিছিল]
এদিন হাজরার সভায় অভিষেক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে মদন মিত্র, দেবাশিস কুমার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। মহামিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস বুঝিয়ে দিল বিজেপি-রাজ্যে বাঙালি নিধনের প্রতিবাদে মানুষ তাদের সঙ্গে রয়েছে। বিপুল জনসমাগম হয় মিছিলে। প্রতিবাদ মিছিলে সামনেই বিশালাকার পোস্টারে লেখা শেম-শেম। আরও নানা পোস্টারে অসমে গণহত্যার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিজেপি বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে সেইসব পোস্টার।
[আরও পড়ুন:'মোদীকে বাঁচাতে মিথ্যা বলছে ড্যাসল্টও'! রাফালে মামলায় নতুন প্রমাণ দিয়ে দাবি রাহুলের ]