তৃণমূলের ছাত্র-যুবরাই ১০ গোল দেবে বিজেপি-সিপিএমকে, চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেক
বিজেপিকে ওপেন চ্যালেঞ্জ অভিষেকের। মেয়ো রোডে টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, আগে লড়াই করতে হবে তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের সঙ্গে।
বিজেপিকে ওপেন চ্যালেঞ্জ অভিষেকের। মেয়ো রোডে টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, আগে লড়াই করতে হবে তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের সঙ্গে। তারপর ভাববেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াই করার কথা। তৃণমূলের ছাত্র যুবরাই ১০ গোল দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেবে বিজেপি-সিপিএমকে।
সোমবার কলকাতার এই মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুৎসা করে আটকানো যাবে না। কেননা তৃণমূলের মূল শক্তি হল মানুষ। তৃণমূলের ছাত্র-যুবরাই যথেষ্ট বিজেপিকে হারানোর জন্য। তাই ছাত্র-যুবদের বলছে, আপনারা আওয়াজ তুলুন। এমন আওয়াজ তুলুন দিল্লি যেন কেঁপে ওঠে।
এদিন তৃণমূলের সমাবেশ থেকে হুঙ্কার ছাড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, তৃণমূল নাকি বেইমানি করেছে। আমি জানতে চাই, কী বেইমানি করেছে তৃণমূল? তৃণমূল কি কন্যাশ্রী দিয়ে বেইমানি করেছে, সবুজ সাথী দিয়ে বেইমানি করেছে, নাকি রূপশ্রী দিয়ে বেইমানি করেছে। তৃণমূলের নামে কুৎসা করা হচ্ছে, মানুষই এর জবাব দেবে।
অবিষেক বলেন, বিজেপির জ্বালা বাংলায় গোহারা হতে হয়েছে। বিজেপি অন্য রাজ্যে জিতলেও, বাংলায় এসে বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই জন্যই ওদের গায়ে জ্বালা হচ্ছে। বাংলার মানুষ ওদের হারিয়েছে, তাই বাংলার উপর এত অত্যাচার হচ্ছে। তাই এই বিজেপিকে বাংলা থেকে দূর করতে হবে। সেজন্য এক হতে হবে ছাত্র-যুবকে।
তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের মহাসমাবেশ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়লা এবং গরুপাচার মামলা নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক এদিন বলেন, বিএসএফের নাকের ডগা দিয়ে কয়লা-গরু চুরি হচ্ছে। আর তারাই শিশু কন্যার সমানে তার মাকে গণধর্ষণ করেছে। এটা কয়লা বা গরু কেলেঙ্কারি নয়। এটার নাম হল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেলেঙ্কারি। অভিষেক বলেন, কয়লা আর গরু পাচারের টাকা আসলে দিল্লিতে পাচার হচ্ছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, যতদূর চোখ যাচছে শুধু কালো কালো মাথা। দু-বছর কোভিডের কারণে আমাদের ছাত্র সমাবেশ করা সম্ভব হয়নি। ২১ জুলাই সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছিল। তারপর ছাত্র পরিষদের এই সমাবেশও নতুন রেকর্ড করল। যারা ভাবে কুৎসা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকে রাখবে, তারা ভুল ভাবছে। তারা মমতা পর্যন্ত পৌঁছনোর আগে আমাদের ছাত্র-যুবদের সঙ্গে লড়াই করুক। এদের এত গায়ের জ্বালা যে প্রতিপদে বাংলার মানুষকে নিপীড়িত, অত্যাচারিত করে রেখেছে।