মুকুলের বিরুদ্ধে এবার সশরীরে ময়দানে অভিষেক, ‘বিশ্ব-বাংলা’য় কী পদক্ষেপ তাঁর
মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০২ নম্বর ধারায় ফৌজদারি ও মানহানির মামলা রুজু করেন। এই মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে সওয়ালও করেন স্বয়ং অভিষেক।
'বিশ্ব-বাংলা' বিতর্কে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে আইনি যুদ্ধ জারি রাখলেন তৃণমূল সাংসদ তথা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তিনি মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০২ নম্বর ধারায় ফৌজদারি ও মানহানির মামলা রুজু করেন। এই মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে সওয়ালও করেন স্বয়ং অভিষেক।
ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক পূর্বা কুণ্ডুর এজলাসে উপস্থিত হয়ে অভিযেক সওয়াল করেন, 'মুকুল রায় আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন, তা সর্বৈব মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। তিনি দাবি করেছিলেন, 'বিশ্ব-বাংলা' কোনও ব্র্যান্ড নয়, 'বিশ্ব-বাংলা' একটি কোম্পানি। আর সেই কোম্পানির মালিক আমি। 'জাগো বাংলা' নিয়েও একই মত পোষণ করেন তিনি। এসবই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে।'
এই মর্মে মুকুল রায়ের অডিও এবং ভিডিও ক্লিপিংসও তিনি আদালতে জমা দেন। অভিষেক মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আর্জি জানানোর পর তাঁর আইনজীবী ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০২ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেন। এই মামলার সমর্থনে তিনি বলেন, 'মাত্র ৩০ বছর বয়সে তাঁর মক্কেল একজন তরুণ সাংসদ হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তাঁর মক্কেলের সম্মানহানি করার জন্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।'
মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই ফাইল দেখিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা আঘাত করার হুমকি দিয়েছিলেন। সেইমতো ১০ নভেম্বর বিজেপির ধর্মতলার মঞ্চ থেকে তিনি অভিষেককে উদ্দেশ্য করে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, 'বিশ্ব-বাংলার মালিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ভারতে আয়োজিত বিশ্বকাপ ফুটবলে ওই লোগো ব্যবহার করা হয়েছিল। আসলে ওটি একটি প্রাইভেট কোম্পানি, কোনও ব্র্যান্ড নয়।' 'বিশ্ব-বাংলা'র লোগো বিশ্বকাপে ব্যবহার করে বহু টাকার মুনাফা লুটেছেন অভিষেক, এমনও অভিযোগ করেন মুকুল রায়।
এরপরই আইনি নোটিশ পাঠান মুকুল রায়কে। এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আর্জি জানান তিনি। কিন্তু মুকুল রায় পাল্টা আইনি নোটিশ পাঠিয়ে তাঁর বক্তব্যে অনড় থাকেন। এরপর দু-পক্ষই আদালতে আইনি যুদ্ধে নামেন। প্রথমে আলিপুরদুয়ার আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন অভিষেক। সেই মামলায় মুকুলকে মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ অমান্য করে মুকুল রায় এই বিতর্ক জারি রাখায় তাঁকে এদিন শোকজ করে আলিপুরদুয়ার আদালত।
[আরও পড়ুন:এবার থেকে রাজ্যে রসগোল্লা উৎসব, কবে হবে, বিস্তারিত জেনে নিন]
[আরও পড়ুন:বিধানসভায় ফের 'বিশ্ব বাংলা', মঙ্গলবার এমনই 'জবাব' দিতে চলেছেন শিক্ষামন্ত্রী]