১২ ঘণ্টার মধ্যে দু’বার তলব, সাতঘণ্টা জেরায় ১৫টি প্রশ্নবাণ সামলে বেরোলেন অভিষেক-শ্যালিকা
রবিবার মাঝরাতের পর ফের সোমবার দুপুরে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গাম্ভীর। দুপুর সাড়ে ১২টায় হাজিরা দেওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রেহাই মিলল তাঁর।
রবিবার মাঝরাতের পর ফের সোমবার দুপুরে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গাম্ভীর। দুপুর সাড়ে ১২টায় হাজিরা দেওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রেহাই মিলল তাঁর। তদন্তকারীদের জেরার মুখোমুখি হয়ে সাত ঘণ্টা পর তিনি বেরিয়ে এলেন ইডি অফিস থেকে।
বিজ্ঞপ্তিতে ভুল সময় উল্লেখ হওয়ায় রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তিনি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে যান। কিন্তু ইডি অফিস বন্ধ থাকায় তিনি ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ফিরে আসতে বাধ্য হন। তারপর তদন্তকারীগের ফোন পেয়ে তিনি সোমবার সময়মতো পৌঁছন ইডি অফিসে। তিনি জানান, তদন্তে সহযোগিতা করতে তিনি প্রস্তুত। আগের নোটিশে সময় ভুল লেখায় ইডি তাঁর কাছে ভুল স্বীকার করে নেন।
কয়লাপাচার মামলায় এদিন তাঁকে ফের তলব করা হয়। ফোন করে ডাকা হয় মেনকাকে। তলব পাওয়ার পর আর দেরি না করে অভিষেকের শ্যালিকা পৌঁছে যান সিজিও কমপ্ল্েক্সে। সাড়ে ১২টায় তিনি ইডি দফতরে পৌঁছনোর পর শুরু হয় জেরা। দু-দফায় জেরা করা হয়। দু-দফায় জেরা করা হয় সাত ঘণ্টা। এর আগে তাঁকে বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয়।
মেনকা গাম্ভীরের আইনজীবীর দাবি, ইডির নোটিসে বলা হয়, ১২ সেপ্টেম্বর রাতে সাড়ে ১২টায় ইডি অফিসে হাজিরা দিতে হবে। সেইমতো তিনি ইডি দফতরে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তারপর মূল হেটে তালা ঝুলছে দেখে নিরাপত্তারক্ষীদের ডেকে তালা খুলিয়ে ভিতরে ঢোকেন। লিফটে চড়ে ইডির দফতরেও পৌঁছে যান। কিন্তু সেখানেও দফতর বন্ধ দেখে তিনি ফিরে আসেন। ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনি দু'বার হাজিরা দেন।
মেনকা গাম্ভীরকে শনিবার অভিবাসন দফতর আটকায়। তাঁকে বিমানবন্দরে বসিয়ে রাখা হয়। সেখান থেকে ফেরার পর রবিবার এম-পিএমের ভুলে মেনকা গাম্ভীরকে বিপাকে পড়তে হয়। ইডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করে। সেই মামলার শুনানি হবে বৃহস্পতিবার। তার আগে এদিন ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করেন অভিষেকের শ্যালিকা।
অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গাম্ভীরের বয়ান এদিন রেকর্ড করা হয়। তাঁকে জেরা করতে দিল্লি থেকে ১৫-২০টি প্রশ্ন তৈরি করে পাঠানো হয়। সেই প্রশ্নের ভিত্তিতেই জেরা করা হয়। সাত ঘণ্টার পর তিনি জেরামুক্ত হয়ে ইডি অফিস থেকে বের হন। এদিকে আবার ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রেজোলিউশন আনা হচ্ছে বিধানসভায়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, এজেন্সি রাজ চলছে। এবার সেই এজেন্সির বিরুদ্ধেই প্রস্তাব আনতে চলেছে তৃণমূল সরকার।
মিশন পঞ্চায়েতে লক্ষ্যে স্থির সিপিএম, বাংলায় সুদিন ফেরাতে এবার মাস্টারস্ট্রোক