পথদুর্ঘটনায় আহত হয়ে বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ
পথদুর্ঘটনার কবলে পড়ে গুরুতর আহত হলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলভিউ নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলছে অভিষেকের।
কলকাতা, ১৮ অক্টোবর : পথদুর্ঘটনার কবলে পড়ে গুরুতর আহত হলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক মাথায় ও ঘাড়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দু্র্ঘটনায় জখম হয়েছেন সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়াও। তাঁরও চিকিৎসা চলছে বেলভিউ নার্সিংহোমে। মঙ্গলবার বিকালে হুগলির সিঙ্গুরের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে সভা সেরে ফিরছিলেন অভিষেক তখন এই ঘটনাটি ঘটে।
অভিষেকের গাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, চালককে কেউ কি কিছু খাইয়ে দিয়েছিল? ডিজিকে ঠিক এই ভাষাতেই প্রশ্ন করেছেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনায় সিআইডি তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পিছনে কোনও অন্তর্ঘাত রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিশিষ্ট চিকিৎসকদের একটি দল অভিষেকের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। ইতিমধ্যেই অভিষেকের সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। মাথায়, ঘাড়ে, এবং পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন অভিষেক। অভিষেকের এমআরআই করার কথাও ভাবছেন চিকিৎসকেরা। আপাতত নার্সিংহোমের ২১৭ নম্বর কেবিনে রাথা হয়েছে অভিষেককে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ হুগলির হরিপালে হিমাদ্রি কেমিক্যালের কাছে দুর্ঘটনা পড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি। এই গাড়িতেই ছিলেন মানসবাবু। কনভয়ের মধ্যেই ছিল তাঁর গাড়ি। সেইসময় একটি ক্রেন টেনে আনছিল অন্য একটি ব্রেক ডাউন হওয়া গাড়িকে। গাড়িটি আচমকাই গতি কমিয়ে দেওয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে ভ্যানটিতে। তারপর ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় গাড়িটি। পিছনে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়িটির সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষ হয় ভ্যানটির। ফলে নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ফোন করে অভিষেকের স্বাস্থ্যের খবর নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় পৌঁছেছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও আসতে পারেন হাসপাতালে। ঘটনাস্থলের রাস্তা সঙ্কীর্ণ থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সিঙ্গুরের কারখানার শেড ও অন্যান্য সামগ্রী সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের একদিকের লেন বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে একদিকের লেনকে দু'ভাগে ভাগ করে আপ-ডাউনের গাড়ি চালানো হচ্ছে। এই দুর্ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সিআইডির একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করবে। নমুনাও সংগ্রহ করবে। ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা তা তড়িঘড়ি জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।