মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি অভিষেকের, বাঙালি-নিধনের প্রতিবাদে গর্জে উঠল কলকাতা
অসমে বাঙালি নিধনের ঘটনায় ওই রাজ্যের বিজেপি সরকারের দিকেই আঙুল তুললেন যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অসমে বাঙালি নিধনের ঘটনায় ওই রাজ্যের বিজেপি সরকারের দিকেই আঙুল তুললেন যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মহানগরের বুকে মহামিছিলে হেঁটে তিনি মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের পদত্যাগ দাবি করেন। অভিষেক বলেন, হত্যার দায় নিয়ে পদত্যাগ করুন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর দিন সেনার পোশাকে ওইদিন কারা এসেছিল? কারা হত্যালীলা চালিয়েছিল?
তৃণমূল যুব সভাপতি বলেন, বাম আমলে আমাদের রাজ্যে একাধিক গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে এমন ঘটনা ঘটেনি। তার কারণ আমরা অতিথিদের দেবতারূপে ভাবি। আর বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের খেদানো হচ্ছে। কোথাও খুন করা হচ্ছে। যেমনটা ঘটল অসমের বুকে। পাঁচ বাঙালিকে নির্মমভাবে খুন করা হল।
এদিন ধিক্কার মিছিল শেষ পথসভায় অভিষেক বলেন, আলফা জঙ্গিগোষ্ঠী এই হত্যার দায় অস্বীকার করেছে। তাহলে সেনার পোশাকে কারা এসেছিল, তার জবাব তো সর্বানন্দ সোনোয়াল সরকারকেই দিতে হবে। কিন্তু এখনও সরকার নীরব। অসমের এই গণহত্যাকে তিনি এদিন নেতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেন। বলেন, বাংলায় ৩৪ বছরে গণহত্যা চালিয়েছে সিপিএম, তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বিজেপির মধ্যে।
এদিন অভিষক-সহ তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা দাবি করেন, দেশে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। অশান্তি ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করাই ওঁদের উদ্দেশ্য। কিন্তু বাংলার ঐতিহ্য তা বলে না। বাংলা ঐতিহ্য মেনেই অসমে বাঙালি খুনের জবাব দেবে। তৃণমূল বলে বিজেপির উচিত হাতজোড় করে অসম ও বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া। তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি উদ্বোধন করা হল, অথচ এই দেশের মানুষ খেতে পায় না। তাহলে এই মূর্তি উন্মোচন কী বার্তা দিচ্ছে দেশবাসীকে।
[আরও পড়ুন: বিজেপির রথের চাকা গড়াবে না বাংলায়, শুধু মমতার নির্দেশের অপেক্ষায় অভিষেক]
এদিন অসমের ঘটনায় উঠে আসে এনআরসি প্রসঙ্গ। যুব তৃণমূল সভাপতি তথা সাসংদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাঙালিদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তারপর বাংলা গান গাওয়ায় বিখ্যাত গায়কের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়েছে অসমে। এবার খুন করা হল বাঙালিদের। আসলে বিজেপি প্রকারান্তরে বাঙালি বিদ্বেষ তৈরি করতে চাইছে। বাঙালির আবেগকে খুন করা হচ্ছে। এর জবাব বিজেপিকে দিতে হবে। তার আগে এসবের দায় নিয়ে পদত্যাগ করুন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন:ছাত্র হত্যার পরও আন্দোলন জারি দাড়িভিটে, স্কুল-বন্ধে কড়া পদক্ষেপ শিক্ষা দফতরের]
[আরও পড়ুন:কলকাতায় আছড়ে পড়ল বিক্ষোভের ঢেউ, অসমে বাঙালি-নিধনে তৃণমূলের মহামিছিল]