বিজেপিকে নিশানায় মদনকে ‘কাঠগড়া’য় তুললেন অভিষেক! সারদা-জুজুতে বিতর্কে তৃণমূল
বিজেপি নেতাদের আক্রমণ করতে গিয়ে মদন মিত্রের উদাহরণ তুলে ধরে সারদা-বিতর্ক এভাবেই উসকে দিলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সারদাকাণ্ডে সাধারণ মানুষের দুই হাজার কোটি টাকা মারার অভিযোগ তিন বছর জেল খেটেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মদন মিত্র। বিজেপি নেতাদের আক্রমণ করতে গিয়ে মদন মিত্রের উদাহরণ তুলে ধরে সারদা-বিতর্ক এভাবেই উসকে দিলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের এই 'স্বীকারোক্তি'ই এবার হাতিয়ার করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিরোধীরা।
শুক্রবার বিকেলে পেট্রোপণ্যের মূলবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুবোধমল্লিক স্কোয়ার থেকে পদযাত্রা করে পার্কস্ট্রিটে পৌঁছনোর পর পথসভায় বিজেপিকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন। আর সেইসময়ই মদন মিত্রের উদাহরণ টেনে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতারের দাবি তোলেন তিনি।
অভিষেক বলেন, মদন মিত্র সারদাকাণ্ডে সাধারণ মানুষের দুহাজার কোটি টাকা মারার অভিযোগে তিনবছর জেল খেটেছেন, তাহলে বিজয় মালিয়ার ১০ হাজার কোটি আর নীরব মোদীর ১৪ হাজার কোটি টাকা মারার অভিযোগে বিজেপি নেতাদের জেল হবে না। বিজয় মালিয়া, নীরব মোদীরা টাকা মেরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতারের দাবি তোলেন তিনি।
অভিষেক যখন মদন মিত্রের উদাহারণ টেনে বিজেপির বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত, তখন মঞ্চে ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সিরাও। অভিষেক বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে ফের সারদা-বিতর্ক উসকে দিলেন। মদন মিত্র এই বিষয়টিতে অবশ্য সে অর্থে আমল দিতে নারাজ। তিনি মনে করছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তা এখনও প্রমাণিত নয়। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এ কথা বলেও থাকেন, সেটা 'স্লিপ অফ টাং'।
সারদা-কাণ্ডের বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। তবে অভিষেকের মুখ থেকে এ ধরনের কথা বেরিয়ে আসায় তা বিরোধীদের কাছ একটা ইস্যু হয়ে উঠবে, সেটাই স্বাভাবিক। বিরোধীরা অভিষেকের এই কথাকে স্বীকারোক্তি বলে মনে করেই সুর চড়াতে পারে। এখন বিরোধীরা এই অভিযোগে উত্তাল হলে, তৃণমূল কংগ্রেস তা আবার কীভাবে মোকাবিলা করে, তাই দেখার। মোট কথা ঘুমিয়ে পড়া একটা ইস্যুকে ফের জাগিয়ে তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই মন্তব্যকে হঠকারী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।