পড়ুয়া পিটিয়েও যাদবপুরের স্থায়ী উপাচার্য হচ্ছেন অভিজিৎ, বিজ্ঞপ্তি ৯ই
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হিটলারি কায়দায় পুলিশি হামলা, আলো নিভিয়ে শ্লীলতাহানি
১৬ সেপ্টেম্বর রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পুলিশ ডেকেছিলেন অস্থায়ী উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। পুলিশি বর্বরতা দেখে চোখ কপালে উঠেছিল গোটা দেশের। ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয় কলকাতা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ হয়। ঘটনার জেরে রাজ্যপাল কথা বলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে। বলেছিলেন, তিনি এই আন্দোলনকে নীতিগতভাবে সমর্থন করছেন। তাঁর কথা ছাত্রছাত্রীরা মনে জোর পান। অথচ সেই রাজ্যপালই শেষ পর্যন্ত অভিজিৎ চক্রবর্তীকে স্থায়ী উপাচার্য পদে বেছে নিলেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য পদে তিনটি নাম রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দফতর। অভিজিৎ চক্রবর্তী ছিলেন এক নম্বরে। এ ছাড়া আইআইটি খড়্গপুরের অনুপম বসু ও শিবপুর আইআইইএসটি-র সুজয় সাহার নাম ছিল। অনেকে ভেবেছিলেন রাজ্যপাল অনুপমবাবু অথবা সুজয়বাবুকে বেছে নেবেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে না গিয়ে তিনি অভিজিৎবাবুকে বেছে নিলেন স্থায়ী উপাচার্য পদে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে খুব শীঘ্রই আবার অশান্ত হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ পড়ুয়া ও শিক্ষকদের সিংহভাগই তাঁকে চায় না। এখন পুজোর ছুটি চলায় ক্যাম্পাস বন্ধ। কিন্তু ছুটির পর বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই শুরু হবে আন্দোলন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধ্যাপকদের মতে, অভিজিৎ চক্রবর্তীকে নিয়োগ না করলেই বরং যুক্তিযুক্ত কাজ করতেন রাজ্যপাল।