আর কংগ্রেস ভাঙবেন না, কথা দিয়েছেন মমতা! লোকসভার আগে মান্নানের চিঠিতে জল্পনা
তৃণমূল আর কংগ্রেস ভাঙাবে না। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানকে কথা দিয়েছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এই জল্পনাই এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
তৃণমূল আর কংগ্রেস ভাঙাবে না। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানকে কথা দিয়েছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এই জল্পনাই এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আর এই জল্পনা আবর্ত হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে।
মে থাকলেও, বর্তমানে কিন্তু সেই চিত্র ধরা পড়ছে না বিধানসভায়। বরং কংগ্রেস যে কোনও মূহূর্তে বিরোধী দলের তকমা হারাতে পারে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আর এই সংশয়ের একমাত্র কারণ তৃণমূলের দলভাঙার খেলা। কংগ্রেসকে ভাঙতে ভাঙতে একেবারে সাইনবোর্ডে পরিণত করে দিয়েছে তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনের শেষে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৪২ থাকলেও। এখন তা নেমে এসেছে ৩১-এ। বামেরা ৩২ থেকে কমে ৩০-এ। আর তৃণমূল বেড়ে ২২৭-এ।
এই অবস্থায় কংগ্রেসের অবস্থা সবথেকে শোচনীয়। ভাঙতে ভাঙতে একেবারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। এখন বিরোধী দলের তকমা বাঁচানোই দায়। তারপর দল বাঁচানো তো বড় ব্যাপার। এই বিপাকে পড়ে নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন আবদুল মান্নান। এমনিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো। সেই সূত্র ধরেই মমতাকে চিঠি লিখে ফেলেছেন মান্নান।
[আরও পড়ুন: বড়সড় রদবদল মমতার মন্ত্রিসভায়! কার গুরুত্ব বাড়ল, কার কমল, দেখে নিন একনজরে ]
মান্নানের এই চিঠি পেয়ে ফোন জবাবও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মান্নান কী চিঠি দিয়েছেন, তা তিনি কংগ্রেস সভ্য-সদস্যদের কাছে পড়েও শুনিয়েছেন। কিন্তু মমতা উত্তরে কী জানিয়েছেন, তা নিয়ে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। মান্নান জানিয়েছেন, মমতা তাঁকে কথা দিয়েছেন, আর এইভাবে কংগ্রেস ভাঙিয়ে বিধায়কদের দলে নেবেন না তিনি। মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন, তার উত্তরে এর বেশি কিছু প্রতিক্রিয়া মেলেনি মান্নানের।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, মান্নান কী চাইছেন, তিনি আগে নিজেকে বাঁচাতে চাইছেন, নাকি দলকে বাঁচাতে চাইছেন। তার উত্তর পেতে অবশ্যা অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। রাজনৈতিক মহলে এমনও জল্পনা শোনা যাচ্ছে, মান্নান সাহেব তৃণমূলের টিকিটে লোকসভায় লড়াই করতে চাইছেন না তো! নাকি কংগ্রেসের দুর্দিনে মমতাকে চিঠি লিখে নিরস্ত করাই তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য।
আরও একটি কথা উঠে পড়েছে। মান্নান বিধানসভায় তাঁর চেয়ার বাঁচাতে চাইছেন। সেই কারণেই চিঠি লিখেছেন মমতাকে। কেননা বিধানসভায় বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে ন্যূনতম ৩০ জন বিধায়ক থাকতে হবে। ২৯ হলেই বিরোধী দলের তকমা হারাতে হবে কংগ্রেসকে। সেক্ষেত্র বামেরা ফিরে পেতে পারে বিরোধী দলের তকমা।