টেট কেলেঙ্কারিতে জড়িত তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়করা, স্বজনপোষণেরও অভিযোগ মান্নানের
একেবারে চাঁছাছোলা ভাষায় আবদুল মান্নান জানিয়ে দিলেন, শাসকদল টেট কেলেঙ্কারিতে জড়িত। প্রাইমারি টেটে স্বজনপোষণ করেছেন তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়ক-নেতারা।
কলকাতা, ২৩ ফেব্রুয়ারি : বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষবেলা টেট-দুর্নীতির আঁচে তপ্ত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বিধানসভায় হেনস্থার জেরে অসুস্থ বিরোধী দলনেতা সেদিন টেট-প্রতিবাদে সামিল হতে পারেননি। একটু সুস্থ হয়েই তাই তৃণমূলের টেট কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। একেবারে চাঁছাছোলা ভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন, শাসকদল টেট কেলেঙ্কারিতে জড়িত। প্রাইমারি টেটে স্বজনপোষণ করেছেন তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়ক-নেতারা।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক আবদুল মান্নানের অভিযোগ, বাংলার যে অঞ্চলেই কান পাতবেন, একটা কথা শোনা যাবে, তৃণমূলের অমুক নেতা এত টাকা নিয়েছে। চাকরি পাচ্ছে তৃণমূলের ঘরের ছেলেরা। কেলেঙ্কারি হয়েছে। রাশি রাশি টাকা নিয়েছেন সাধারণের কাছ থেকে। তার বিনিময়ে মিলেছে চাকরি। অনেক ক্ষেত্রে আবার চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও পথ নেই তাঁদের কাছে।
রাজ্যজুড়ে দলবাজি চালানো হচ্ছে। টাকা ছড়ালে চাকরি। দল কর, টাকা দাও, হাতে হাতে চাকরি নাও। এই আওয়াজ এখন শোনা যাচ্ছে রাজ্যের কোনায় কোনায়। এই রেওয়াজ কিন্তু কংগ্রেস সরকারের আমলে ছিল না। সমস্ত বেকারকে চাকরি দিতে না পারলেও, কারও সঙ্গে এভাবে প্রতারণা হয়নি। এই সরকার বেকারদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। প্রাইমারি নিয়োগ পুরোটাই দুর্নীতিতে ভরা।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় সরকারি সম্পত্তি সুরক্ষা বিল নিয়ে সরব হয়েছিলেন মান্নান। তখনই মার্শালদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর বুকে পেসমেকার বসাতে হয়। এখন তিনি বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়লেন না।
রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে মান্নান সাহেব বলেন, সরকারের উচিত এখতি শিক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করা। শিক্ষামন্ত্রী কোনওভাবেই এই কেলেঙ্কারির দায় এড়াতে পারে না। সভ্য সরকার হলে সব থেকে আগে তা-ই করত। হাইকোর্টও রাজ্য সরকারের এই 'কর্মকাণ্ড'-এ বিস্ময় প্রকাশ করেছে। যতই নিয়োগপত্র দেওয়া হোক, শেষ কথা বলবে হাইকোর্টই।