অপহরণের রাতেই খুন, গেস্ট হাউস থেকে উদ্ধার অপহৃত ব্যবসায়ীর দেহ
অপহরণের রাতেই খুন, গেস্ট হাউস থেকে উদ্ধার অপহৃত ব্যবসায়ীর দেহ
খাস কলকাতায় খুন। শহরের গেস্ট হাউস থেকে উদ্ধার হল ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত দেহ। গত কয়েকদিন ধরেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। ভবানীপুরের ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চেয়েছিল আততায়ীরা। পুলিশ মোবাইল টাওয়ার লোকেট করে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই ব্যবসায়ীকে খুন করে সেখান থেকে চম্পট দেয় তারা।
{image-crimescene-1644399713.jpg bengali.oneindia.com
ভবানীপুরের ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছিল ভবানীপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে। সোমবারই আততায়ীরা তাঁর বাড়িতে ফোন করে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সোমবার থেকেই আততায়ীদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেট করতে শুরু করেছিল পুলিশ। রাতেই শম্ভুনাথ পণ্ডিত রোডের একটি গেস্ট হাউসে অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্তু সেখানে তদন্তকারীরা পৌঁছনোর আগেই কাম তমাম করে চম্পট দিয়েছিল আততায়ীরা। হোটেলের ঘরে বিছানার উপরে পড়েছিল ভবানীপুরের অপহৃত ব্যবসায়ীর দেহ।
খাটের উপর চিৎ হয়ে পড়েছিল দেহ। গলায় কাটা দাগ। তার থেকেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান গলা কেটে খুন করা হয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে। সেই সঙ্গে গলায় শ্বাসরোধ করে মারার দাগও রয়েছে। তার থেকেই প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে প্রথমে শ্বাস রোধ করে এবং পরে গলা কেটে খুন করা হয়। শ্বাসরোধ করেই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খাটের উপর িচৎ হয়ে পড়ে ছিল দেহ। পুলিশের অনুমান ভয় পেয়েই আততায়ীরা তাঁকে খুন করে সেখান থেকে চম্পট দেয়।
পর পর দুই ব্যবসায়ীর খুন শহরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এর আগে গড়িয়াহাটেও খুন করা হয়েছিল নিউটাউনের এক ব্যবসায়ীকে। তার পরে আবার হোটেলের ঘরে ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। এই আততায়ীরা তাঁর পূর্ব পরিচিত ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ প্রকাশ্যে আসবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনের কল লিস্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে পরিবারের লোকেরা যে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল তা আততায়ীরা জানতে পেরে যায়। এবং তাঁদের মোবাইল ফোনের টাওয়ার েয লোকেট করা হচ্ছে সেটাও জানতে পেরেছিল তারা। সেকারণেই খুন করে সেখান েথকে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এই আততয়ীরা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যবসায়ীকে খুন করেছিল এবং টাকাটাই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।