এক রাতে ৩ গোখরো মারার ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল, শেষমেশ যে হাল হল বীরপুরুষের
একই রাতে পর পর তিনটি গোখরো সাপ মেরে বীরত্বের কাজ সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল যুবক। সেই রাতেই মাশুল গুণতে হল তাঁকে। মুহূর্তে ভাইরাল হওয়া ছবিতেই বাধল গোল।
একই রাতে পর পর তিনটি গোখরো সাপ মেরে বীরত্বের কাজ সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল যুবক। সেই রাতেই মাশুল গুণতে হল তাঁকে। মুহূর্তে ভাইরাল হওয়া ছবিতেই বাধল গোল। শেষমেশ সাপ মারার মাশুল দিয়ে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির বাসিন্দা নান্টু ঘোষকে জেলে যেতে হল। পরিবেশকর্মীর অভিযোগে শ্রীঘরে স্থান হল বীরপুরুষের।
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ঘোষপাড়ায় হঠাৎ গোখরো বেরিয়েছিল। তা দেখে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সেই সাপকে মেরে ফেলেছিল নান্টু। একটা-আধটা নয়, পেল্লাই গোখরো তিন-তিনটি এক রাতে খুন করেছিল সে। সাপের মাথা, লেজ থেঁতলানো সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল যুবক। তারপরই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়।
এক পরিবেশকর্মী ফেসবুকে সেই ছবি দেখে বনদফতরের কাছে অভিযোগ জানান। তিনি ছবিও পাঠান বন দফতরের কাছে। আর সঙ্গে সঙ্গেই বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জের অফিসার দলবদল নিয়ে হানা দেন নান্টুর বাড়িতে। সঙ্গে পুলিশও। পুলিশ গ্রেফতার করে নান্টুকে। নান্টু ঘূণাক্ষরেও টের পাননি এইসব ঘটতে চলেছে।
নান্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ বন্যপ্রাণীকে হত্যা করার। সেই অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে, উদ্ধার করা হয় তিনটি সাপের দেহ। সাপগুলির ময়নাতদন্তও করা হয়। অভিযোগ, এর আগে নান্টু ৫০টিরও বেশি বিষধর সাপ মেরেছে। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত সাপগুলি নাজা নাজা প্রজাতির। একসঙ্গে কোনওভাবে ঢুকে পড়েছিল লোকালয়ে।