তারাতলায় নির্ভয়াকাণ্ড! দোকানদারের লালসার শিকার ভিনরাজ্যের তরুণী, দেখুন ভিডিও
আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে ভিনরাজ্যের তরুণী মাংসের দোকানদার ও তার বন্ধুদের লালসার শিকার হন। তাঁকে এক পরিত্যক্ত জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
শহর কলকাতার বুকে দিনদুপুরে গণধর্ষিতা হলেন এক তরুণী। আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে ভিনরাজ্যের তরুণী মাংসের দোকানদার ও তার বন্ধুদের লালসার শিকার হন। তাঁকে এক পরিত্যক্ত জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনি নাবালক-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত মাংসের দোকানের কর্মীও রয়েছে।
ভিনরাজ্যের ওই তরুণী তারাতলার একটি মাংস দোকানে মাংস কিনতে গিয়েছিলেন। সেই সময় মাংসের দোকানদার ও তার বন্ধুদের কুনজরে পড়েন তিনি। তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এক পরিত্যক্ত বাড়িতে। সেখানে অভিযুক্ত যুবকেরা ওই তরুণীর উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের সময় তরুণীর নগ্ন ছবিও তারা তুলতে থাকে। ধর্ষণের ভিডিও রেকর্ডিংও করা হয়।
ছজন মিলে ধর্ষণের পর ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পালানোর আগো তারা হুমকি দিয়ে যায়, এই ঘটনা কাউকে জানানো নগ্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবে। তবু সেই হুমকি উপেক্ষা করে বাড়িতে গিয়ে সব ঘটনা পরিবারের লোককে জানান তিনি। এরপর তারাতলা থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয় নিগৃহীতা পরিবারের পক্ষ থেকে।
তারাতলার এই গণধর্ষণের ঘটনা ফের একবার নির্ভয়া-কাণ্ডের স্মৃতি উসকে দিল। নির্ভয়া-কাণ্ডে যেমন নাবালকদের হাতে নির্মমভাবে নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছিল, এক্ষেত্রেও তিন নাবালক যুক্ত ছিল এই নিন্দনীয় কীর্তিকলাপে। এই ঘটনার পরই ডিসি মিরাজ খালিদের নেতৃত্বে অভিয়ানে নামে পুলিশ।
প্রথমেই মাংস দোকানের কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর একে একে গ্রেফতার করা হয় বাকিদের। যে মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও এবং তরুণীর নগ্ন ছবি তোলা হয়েছিল, তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নির্যাতিতা তরুণী ও অভিযুক্তদের পোশাক ফরেনসিক তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনা ফের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নকে ফের সামনে এনে দিল। তবে পুলিশ এই ঘটনার চটজলদি ব্যবস্থা নিয়েছে। অভিযোগ দায়েরের পরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাবালক অভিযুক্তদের পেশ করা হয় জুভেনাইল আদালতে। আর বাকিদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়।