একেই বলে মিরাকল, অলৌকিকভাবে মৃত্যুর প্রায় আটঘন্টা পড়ে বেঁচে উঠলেন এই মহিলা
কলকাতায় ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করার পর এক মহিলা, দাহ করার ঠিক আগে অলৌকিকভাবে আবার শ্বাস নিতে শুরু করলেন।
মিরাকল বা চমৎকার বোধহয় একেই বলে। দাহ করার জন্য দেহ পৌঁছে গিয়েছিল শ্মশানে। বৈদ্যুতিন চুল্লিতে দেহ ঢোকানোর ঠিক আগেই সেই 'মৃতদেহ' নড়ে চড়ে উঠল! আর কোথাও নয়, চমকপ্রদ এই ঘটনাটি ঘটল শহর কলকাতার বুকেই।
মধ্যমগ্রামের পূর্ব বঙ্কিমপল্লির শিবানী বিশ্বাসের অনেকদিন রেই রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের সমস্যা। এর সঙ্গে রক্তে সংক্রমণ হওয়ায় রবিবার রাতেই তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল বারাসত হাসপাতালে। সোমবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে।
সেখানে আইসিইউ-তে ডাক্তারদের কড়া তত্ত্বাবধানে রাখা হয় তাঁকে। শুক্রবার সকালে সাড়ে ছটা নাগাদ মাকে দেখে আসেন শিবানী দেবীর পুত্র। তিনি জানিয়েছেন, আধ ঘন্টা যেতে না যেতেই ডাক্তাররা তাঁকে ফোন করে ডাকেন। তিনি হাসপাতালে ফেরত গেলে জানানো হয় শিবানী দেবীর মৃত্যু ঘটেছে। চার ঘন্টা অবজারভেশনে রেখে তারপর আর জি কর শিবানী দেবীর ডেথ সার্টিফিকেটও দেয়।
এরপর বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ শিবানী বিশ্বাসের 'মরদেহ' আনা হয় কাশিপুর মহাশ্মশানে। দাহ করার জন্য আবেদন জানিয়ে যখন আত্মীয় পরিজনেরা অপেক্ষা করছিলেন, ঠিক তখনই শিবানী দেবীর 'মৃতদেহ' নাকি নড়া-চড়া শুরু করে। পরিজনেরা কাছে গিয়ে দেখেন তাঁর শ্বাসও পড়ছে। হইচই পড়ে যায় শ্মশানে। তাঁকে আবার নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে।
ডাক্তাররা এই ঘটনায় হতবাক। তাঁরা বলছেন ডেথ সার্টিফিকেট অনুযায়ী মৃত্যুর প্রায় আটঘন্টা পরে বেঁচে উঠেছেন শিবানী বিশ্বাস! তাঁকে আপাতত অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। ডাক্তারদের মতে এ মিরাকল ছাড়া কিছু না। কিন্তু, সত্যি মিরাকল নাকি ডাক্তারদের তরফে কোনও গাফিলতি ছিল সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।