মমতার ঘোষণা আইনি-ফাঁসে, দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান নিয়ে এবার জনস্বার্থ মামলা
সব চরিত্র কাল্পনিক। এবার এই বিষয় ভাবনাতেই মাতৃ আরাধনায় ব্রতী বাদামতলা আষাঢ় সংঘ। শারদোৎসবে নয়া এই বিষয় ভাবনার মধ্য দিয়ে নারীর দুই রূপ তুলে ধরতে চাইছেন
মমতার
ঘোষণা
আইনি-ফাঁসে,
দুর্গাপুজোয়
সরকারি
অনুদান
নিয়ে
জনস্বার্থ
মামলা
হাইকোর্টে
দুর্গাপুজোয়
পুজো
কমিটিগুলিকে
সরকারি
অনুদানের
সিদ্ধান্ত
নিয়েছে
রাজ্য
সরকার।
সেই
সিদ্ধান্তের
বিরোধিতা
করে
জনস্বার্থ
মামলা
দায়ের
হল
কলকাতা
হাইকোর্টে।
চলতি
সপ্তাহে
ভারপ্রাপ্ত
প্রধান
বিচারপতি
দেবাশিস
করগুপ্তের
ডিভিশন
বেঞ্চে
এই
মামলার
শুনানির
সম্ভাবনা
রয়েছে।
অভিযোগ,
এই
অনুদান
ঘোষণা
ধর্মনিরপেক্ষতার
পরিপন্থী।
মামলা দায়েরের দিন আদালতে উল্লেখ পর্বে জনৈক এক আইনজীবী প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, 'কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মানছে না রাজ্য সরকার। ধর্মীয় কাজে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তা অমান্য করছে রাজ্য সরকার।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করেই পুজো কমিটিগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত সংবিধান বিরোধী বলে তিনি ব্যাখ্যা করেন। আইনজীবীর দাবি, রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়া, বিজ্ঞপ্তি জারি না করে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। ২৮ কোটির অনুদান ঘোষণা সংবিধানের ১৪ ও ১৫(১) এবং ১৬৬ ধারার পরিপন্থী। এই ঘোষণা দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
এদিন তিনি আরও বলেন, 'ইমাম-ভাতার নির্দেশিকা খারিজ করে হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল ধর্মীয় নেতাদের টাকা দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত বিধিবহির্ভূত এবং সংবিধানবিরোধী। পুজো কমিটিগুলিকে টাকা দিয়ে রাজ্য হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। তাই আদালত আইনানুগ ব্যবস্থা নিক রাজ্যের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন:মাঝসমুদ্রে প্রবল ঝঞ্ঝার মুখে জীবন বাজি রেখে লড়াই কম্যান্ডারের, ভিডিও-য় উদ্ধার-কাহিনি ]
রাজ্যের সিদ্ধান্তের ফলে শুধু ধর্মীর বিভাজন হচ্ছে তা নয়, সাধারণ মানুষের টাকা নিয়েও তছনছ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। পুজো কমিটিকে টাকা দিয়ে আদালতের নির্দেশ অমান্য করার পাশাপাশি রাজ্য আরও একটা গর্হিত কাজ করেছে। তা হল- রাজ্য কখনো কোনও সম্প্রদায়ের পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারে না।
[আরও পড়ুন:সাংসদ, বিধায়করা আইনের প্র্যাকটিস চালানোয় বাধা নেই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
তিনি বলেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত অযথা দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে।' এহেন অভিযোগ এনে অবিলম্বে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী। তিনি জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি চান আদালতের কাছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই দায়ের হয় মামলা।
[আরও পড়ুন:অপরাধীদের ভোটে দাঁড়াতে বাধা দেবে না সর্বোচ্চ আদালত! রাজনীতিতে কি ফিরছে কলঙ্কিত অধ্যায়]