দুর্গাপুজোর মণ্ডপ জ্বালিয়ে দেওয়ার হুঙ্কার ফেসবুকে, বাংলার পুজোয় কেন হিন্দি টিজার
হলুদের প্যান্ডেল, কেন হলদি লেখা! শহরে হলুদের প্যান্ডেলে হিন্দি ভাষা প্রয়োগ করায় মণ্ডপ জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
হলুদের প্যান্ডেল, কেন হলদি লেখা! শহরে হলুদের প্যান্ডেলে হিন্দি ভাষা প্রয়োগ করায় মণ্ডপ জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুকে প্রত্যক্ষ হুমকি দুর্গা প্রতিমা সরিয়ে মণ্ডপ জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। শহরে ফের প্রাদেশিকতার ছোঁয়া, ভাষা নিয়ে যুদ্ধের হুঙ্কার। হুমকির বার্তার পর সার্ভে পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করল পুজো কমিটি।
সন্তোষপুর লেকপল্লির দুর্গা পুজো মণ্ডপের মূল আকর্ষণ এবার হলুদের প্যান্ডেল। সেই কারণেই পুজো কমিটির টিজার ছিল 'হলদি কা প্যান্ডাল'। সন্তোষপুর লেকপল্লির ফেসবুক পেজে সেই টিজার পোস্ট হতেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। একটি সংগঠন সমালোচনা, কটাক্ষে ভরিয়ে দেয়। আসতে থাকে অনবরত হুমকি।
সোশ্যাল যুদ্ধেই শেষ নয় প্রতিবাদ, পুজোমণ্ডপে গিয়ে কালো পতাকা দেখানোর হুমকিও দিয়েছে সংগঠনের সদস্যরা। ফেসবুকে 'বয়কট সন্তোষপুর লেকপল্লি' হ্যাশট্যাগ দেওয়া হয়েছে। অভিনব পন্থায় পুজো বয়কটের ডাক দিয়েছে ওই সংগঠন। পুজো কমিটির তরফে ওই সংগঠনের সদস্যদের বিষয়টি বোঝার বার্তা দেওয়া হয়। তারপরও মানতে নারাজ সংগঠন। সমানে চলতে থাকে সমালোচনা।
একটি মশলা প্রস্তুতকারী সংস্থা এবছর দক্ষিণের এই নামী পুজোর স্পনসর হয়েছে। সেইমতো সন্তোষপুর লেকপল্লি পুজোর এবারের মূল আকর্ষণ 'হলুদের প্যান্ডেল'। কিন্তু টিজারে বাংলার বদলে কেন হিন্দি ভাষার ব্যবহার করা হল, তা নিয়েই যত বিতর্ক। যার জেরে বিপাকে পড়েছে সন্তোষপুর লেকপল্লি পুজো কমিটি। ফেসবুক-সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে প্রতিবাদ, সমালোচনার ঝড়।
সন্তোষপুর লেকপল্লি পুজো কমিটির পক্ষে জানানো হয়েছে, অন্য কোনও বার্তা দেওয়ার জন্য নয়, অবাঙালি মশলা প্রস্তুতকারী সংস্থা স্পনসর বলেই প্রথমে টিজারে লেখা ছিল 'হলদি কা প্যান্ডাল'। এরপর বেশ কয়েকজন ব্যক্তি মহিলাদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন। মণ্ডপ পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে সার্ভে পার্ক থানায় অভিযোগ করেন উদ্যোক্তারা। কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখাতেও অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
[আরও পড়ুন: প্রযুক্তির মায়াজাল থেকে মুক্তির আহ্বান! হাতিবাগান সর্বজনীনের এবারের আকর্ষণ]