রোগী পিটিয়ে খুন হাসপাতালেই! গ্রেফতার সল্টলেকের মানসিক হাতপাতালের চিকিৎসক
দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভোগা রণদীপ বসু ৩ এপ্রিল সল্টলেকের একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দেড়মাস চিকিৎসার পর হঠাৎ একদিন জানানো হয় রণদীপ মারা গিয়েছেন।
রোগীকে 'পিটিয়ে' মারার অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে! চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত চিকিৎসককে। মঙ্গলবার সল্টলেক থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত চিকিৎসকের নাম আর কে ব্রহ্ম। বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার পর এদিনই আদালতে পেশ করে। ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জেরা করবেন তদন্তকারীরা।
পেশায় অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার রণদীপ বসু। দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। ৩ এপ্রিল তাঁকে সল্টলেকের একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের তরফে ডাক্তার আর কে ব্রহ্মের অধীনে ভর্তি করা হয় রণদীপকে। তখন কিছুদিনের মধ্যেই রণদীপ সুস্থ হয়ে যাবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছিলেন ডাক্তারবাবু। কিন্তু তা আর হয়নি। ২০ মে হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয় রণদীপ মারা গিয়েছেন।
এরপরই রণদীপের পরিবারের পক্ষ থেকে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় চিকিৎসক আর কে ব্রহ্মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরই মধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্টও হাতে পেয়ে যান তদন্তকারীরা। সেই রিপোর্ট দেখে তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা মনে করছেন, শারীরিকভাবে নিগ্রহ করার ফলেই মৃত্যু হয়েছে।
এরপরই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। অর্থাৎ অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ আনা হয় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন চিকিৎসক। এদিন সল্টলেক থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ এখন জানার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন এমন ঘটনা ঘটল? কী কারণে একজন রোগীকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হল? আবার নিগ্রহে অভিযুক্ত একজন চিকিৎসক! এই ঘটনার পিছনে কী রহস্য তা জানার চেষ্টা চালাবে পুলিশ।