এক বিধানসভা কেন্দ্রকে নিয়ে একটি জেলা, কঠোর সমালোচনা সূর্যকান্তের
শুধুমাত্র একটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে একটি জেলা গঠনের কঠোর সমালোচনা করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেন, এই জেলার কোনও পরিকাঠামো গঠন করা হয়নি।
কলকাতা, ১৬ ফেব্রুয়ারি : মঙ্গলবার কালিম্পং-এ সভা করে সরকারিভাবে পৃথক কলিম্পিং জেলা গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুমাত্র একটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে একটি জেলা গঠনের কঠোর সমালোচনা করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেন, এই জেলার কোনও পরিকাঠামো গঠন করা হয়নি। এই মুহূর্তে এই জেলা জনগণের কী পরিষেবা দেবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এই বিভাজনের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে তৃণমূল রাজনৈতিক ভিত্তি প্রসারিত করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
সূর্যকান্ত বলেন, এখন স্বাভাবিকভাবেই দাবি উঠেছে যে জেলা গঠনের একটি সাধারণ মানদণ্ড দরকার। কেননা এখন শিলিগুড়ি, ইসলামপুর, বালুরঘাটসহ নানাস্থানে নতুন জেলা গঠনের দাবি উঠেছে। পাহাড়েরও বিভিন্ন জনজাতির নামে ১৫টি কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। এই ধরনের কাউন্সিল গঠনের মধ্য দিয়ে পাহাড়ের মানুষকে অনৈক্য, বিভেদের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
তাঁর আরও অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বর্তমান রাজ্য সরকার পাহাড়ে নানা জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন বোর্ড গঠনের মাধ্যমে যে ভয়ানক বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছে, তার বিরোধিতা করছি আমরা। নেপালি জাতির বিকাশ ও পাহাড়ের উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের পার্টি এবং বিগত বামফ্রন্ট সরকার সর্বোচ্চ স্বায়ত্বশাসনের জন্য আন্তরিক উদ্যোগ কার্যকারী করেছিল। আমরা চেয়েছিলাম সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে উন্নত ও শক্তিশালী স্বায়ত্বশাসন।
এমনকী জিটিএ গঠনের সময়েও বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে বামফ্রন্টে তরফে বেশ কিছু ইতিবাচক প্রস্তাব রাখা হয়েছিল বলে তাঁর দাবি। তিনি বলেন, প্রকৃত আঞ্চলিক স্বশাসন সুনিশ্চিত করাই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু সে সময়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পরস্পরের সংকীর্ণ স্বার্থেই আমাদের আমাদের প্রস্তাবগুলি উপেক্ষা করেছিল। আজকের বিভাজনের রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের আগ্রাসন নীতি প্রকাশ্যে এসে গেল।