নিমতলায় কাঠের গুদামের আগুন ছড়াল পার্শ্ববর্তী দোকানেও, আতঙ্ক এলাকায়
নিমতলায় কাঠের গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগল। সেই আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকানেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমতে দমকলের ছ-টি ইঞ্জিন কাজ করছে এলাকায়। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার সকালে হঠাৎই ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
নিমতলায় কাঠের গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগল। সেই আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকানেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমতে দমকলের ছ-টি ইঞ্জিন কাজ করছে এলাকায়। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার সকালে হঠাৎই ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এলাকার বাসিন্দারা তা দেখামাত্রই দমকলে খবর দেন। দমকল আসার আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
শনিবার সকালে নিমতলার মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডে কাঠের গুদামে আগুন লাগে। আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। পরবর্তী সময়ে আরও তিনটি ইঞ্জিন আসে। দাহ্যবস্তু মজুত থাকায় দ্রুত ছড়াতে থাকে আগুন। দমকল আসার আগেই তা ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকানগুলিতে।
দমকলের ছটি ইঞ্জিন আগুন অ্যারেস্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যাতে আগুন আর ছড়িয়ে না পড়ে, সেটাই লক্ষ্য দমকলবাহিনীর। আগুন অ্যারেস্ট করার পর আগুন নেভামোর কাজ তৎপরতরা সঙ্গে চালান দমকলকর্মীরা। দমকলকর্মীদের নিরন্তর চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রথম আগুন পাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। একটার পর একটা দোকানে আগুন লাগতে থাকে। আবার দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, কাঠের গুদাম অর্থাৎ দাহ্য বস্তু প্রচুর পরিমাণ মজুত থাকায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে বা নেভাতে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগতে পারে। ইঞ্জিনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, তাঁদের প্রথম লক্ষ্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা। আগুন নেভানোর পরে তারা খতিয়ে দেখবেন কী কারণ আগুন লেগেছিল। অগ্ননির্বাপক ব্যবস্থা মজুত ছিল কি না। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পিছনো কোনও সাবোতোজ ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও প্রতিহিংসা নাকি নিছকই দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
আগুনের ফুলকি দেখার পরই এলাকার মানুষ জড়ো হয়ে আগুন নেভানোর তোড়জোড় শুরু করে। ইত্যবসতে দমকল পৌঁছে যায়। দমকল কর্মীদের সঙ্গে সহায়তা করেন সাধারণ মানুষও। জলের জোগান নিয়ে তেমন কোনও সমস্যা না হওয়ায় দ্রুত আগুন ছডানো রোধ করা যায়। নাহেল আগুন যেভাবে ছড়াতে শুরু করেছিল, তা সাধারণ এলাকাবাসীর কাছে দুঃসহ যন্ত্রণার কারণ হয়ে উঠেছিল। কারণ কাঠের গুদামের বিধ্বংসী আগুন গ্রাস করে নিচ্ছিল এক একটা দোকান।