
১২২ বছরের পুরনো বাড়ি অগ্নিকাণ্ডে ছাই! সিলিন্ডার বিস্ফোরণ নাকি নেপথ্যে কোনও অন্তর্ঘাত
১২২ বছরের পুরনো বাড়ি অগ্নিকাণ্ডে ছাই হয়ে গেল! শনিবার সন্ধ্যায় টেরিটি বাজারে শতাব্দী প্রাচীন বাড়িটিতে আগুন লাগে। মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাড়িটিতে। চারটি দমকল ইঞ্জিনের সহায়তায় ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই বাড়িতে পাঁচ জনের একটি পরিবার থাকত। তাঁদের প্রত্যেককেই সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করা গিয়েছে।

শনিবারে সপ্তাহের শেষদিনে কলকাতার জনবহুল এলাকায় এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। টেরিটি বাজারে বিধ্বংসী এই আগুন লাগে তিনতলার বাড়ির ছাদের ঘরে। দাউদাউ করে জ্বলছে সমগ্র বাড়িটি জ্বলতে থাকে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় বাড়ির চারপাশের এলাকা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকলের চারটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়।
এলাকাটি খুব ঘিঞ্জি হওয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় দমকল কর্মীদের। দমকলের গাড়ি ঢোকাতে এবং জলের জোগানেও সমস্যা তৈরি হয়। দমকল কর্মীরা স্থানীয় মানুষের সহায়তায় এবং নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয়। এদিন সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট আগুন দেখা যায় বাড়িটিতে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আওয়াজও পাওয়া যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে জানানো হয়েছে, সিলিন্ডার ফাটার শব্দ পেয়েছেন তারা। অনুমান করা হচ্ছে, সিলিন্ডার ফেটেই এই আগুন লেগেছে। হাওয়ার তোড়ে আগুনের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। তবে দমকলের পক্ষ থেকে এই আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। এই বাড়িতে থাকতেন পাঁচ জনের পরিবার। তাঁদেরকে সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, এই বাড়িটির দিকে নজর ছিল প্রোমোটারদের। শতাব্দী প্রাচীন বাড়িটিতে তাই আগুন লাগার পিছনে নিছকই দুর্ঘটনা রয়েছে নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্তর্ঘাত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশাসন অগ্রাধিকার দিচছে আগুন নেভানোকে। আগুন নেভার পরেই তদন্ত শুরু হবে কীভাবে আগুন লাগল।
স্থানীয়রা সিলিন্ডারের আওয়াজ শুনেছেন ঠিকই। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারপর সেই অগ্নিকাণ্ডের জেরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়, নাকি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েই আগুন ছড়িয়ে পড়ে তা খতিয়ে দেখা হবে। নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হবে।
এদিন অগ্নিকাণ্ডের পর দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানান, কী কারণে এই আগুন লাগল তা তদন্ত করে দেখা হবে। কোনও অন্তর্ঘাত থাকতে চটজলদি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে পরিবার এই বাড়িতে ছিল, সেই পরিবারের সকল সদস্যদের বের করে আনা হয়েছে। তারা সবাই সুরক্ষিত আছেন।