দাউদাউ জ্বলছে তিলজলার রবার কারখানা, ফোমেও বাগ মানছে না আগুন
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফোমও। কিন্তু অতিরিক্ত দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
ফের শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এবার দাউ দাউ আগুন পুড়ে ছাই তিলজলার রবার কারখানা। দমকলের ছ'টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ চালাচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফোমও। কিন্তু অতিরিক্ত দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ফলে আগুন নেভাতে যেমন সমস্যা হয়, আগুনের তীব্রতাও হু হু করে বাড়তে থাকে।
অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকায় ওই কারখানা। ফলে আগুন নেভানোর কাজ করতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে কর্মীদের। আগুনের উৎসস্থল খুঁজে পেতেই বেগ পেতে হয়েছে। তারপর জলের জোগান পেতেও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। গোটা এলাকায় কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে। রবারের মতো দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন বীভৎসতা বেশি।
শুধু দমকলকর্মীরাই নন, আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয়রাও। তাঁরাও দমকলকর্মীদের সঙ্গে হাত লাগিয়ে আগুন নেভাতে সহায়তা করেন। দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর আমরা খতিয়ে দেখব, কী কারণে এই আগুন লাগল। তবে অনুমান করা হচ্ছে শর্টসার্কিট থেকেই এই আগুন লাগতে পারে।
সেইসঙ্গে আমরা খতিয়ে দেখব, এই কারখানায় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আদৌ ছিল কি না? যদি অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকে, তা কেন কাজ করল না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। সেইসঙ্গে কারখানার রোজিস্ট্রেশনও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় পুলিশ ও দমকলের পক্ষ থেকে পৃথক অভিযোগ নথিভুক্ত করে তদন্ত চলবে।
[আরও পড়ুন:সন্তানহারা মায়ের আকুতি- প্রতিকার চাই, আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি আমরিকে]
এদিকে দমকলকর্মীরা আগুন নেভাতে গিয়ে চেষ্টা করছেন আগুন যাতে অ্যারেস্ট করে রাখা যায়, কেননা ঘিঞ্জি এলাকা একটু সমস্যা হলেই, তা মারাত্মক রূপ নেবে। আগুন ছড়িয়ে পড়বে বসত এলাকায়। তাই আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে। এলাকায় খালি করে দেওয়া হয়েছে। যাতে প্রাণহানির না ঘটে।