বাঘ সংরক্ষণের বার্তা নিয়ে বাইকে চেপে দেশভ্রমণ কলকাতার এই দম্পতির
আজ থেকেই রাজধানী দিল্লিতে জারি হয়ে গিয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য রাজধানী দিল্লিতে জারি হয়ে গিয়েছে সতর্কতা। কারণ, আগামী ৩১ অক্টোবর ভারতের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন হিসাবে উঠে আসছে চলেছ
জীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্ত হতেই মানুষ ভ্রমণ করে। তবে অনেকেরই এই ভ্রমণের উদ্দেশ্য অন্য হয়। কেউ হয়ত গোটা পৃথিবী দেখবে বলে বাড়ি চার দেওয়ালের গণ্ডি ছাড়ে আবার কেউ বা কোনও মহৎ উদ্দেশ্যকে সফল করতে দেশ–বিদেশ ঘুরে বেড়ায়। তবে কলকাতার রথীন্দ্র দাস ভ্রমণ করেন বাঘেদের জন্য। বাঘ সংরক্ষণ করার বার্তা নিয়ে তিনি ও তাঁর স্ত্রী গীতাঞ্জলী বাইকে করেই দেশভ্রমণে বেড়িয়ে পড়েছেন। তাঁদের এই সফর 'জার্নি ফর টাইগারস’ বা 'বাঘেদের জন্য সফর’ নামে পরিচিত।
এই দম্পতি এ বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাঁদের সফর শুরু করেন। ইতিমধ্যেই তাঁরা ওড়িশা এবং পাঁচটি কেন্দ্রশাসিত রাজ্য সহ দেশের ২৮টি রাজ্য চষে ফেলেছেন। তাও বাইকে করে। রথীন্দ্র বলেন, 'আমি আমার স্ত্রী গীতাঞ্জলীর সঙ্গে ভারত সফর শুরু করি এ বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি।
Bhubaneswar: A couple from Kolkata is on a motorcycle tour across the country to create awareness among people to save tiger. Rathindra Das says,"Me & my wife Gitanjali started this journey from Kolkata on February 15. The name of our campaign is 'Journey For Tiger'." #Odisha pic.twitter.com/fuzRsVZI99
— ANI (@ANI) October 29, 2019
এই
সফরের
পাশাপাশি
আমরা
বাংলার
বাঘেদের
সংরক্ষণের
জন্য
'জার্নি
ফর
টাইগার্স’–এর
প্রচারও
করছি।
আমরা
অসম,
মেঘালয়,
ত্রিপুরা,
নাগাল্যান্ড,
মিজোরাম,
বিহার,
উত্তরপ্রদেশ,
উত্তরাখণ্ড,
হিমাচলপ্রদেশ,
জম্মু–কাশ্মীর,
পাঞ্জাব,
চণ্ডীগড়,
দিল্লি,
রাজস্থান,
গুজরাট
সহ
দেশের
বেশ
কিছু
রাজ্যে
সফর
সেরেছি।
আমরা
৩৫
হাজার
পথ
পেরিয়ে
২৮টি
রাজ্যের
প্রায়
২৬
হাজার
মানুষকে
আমাদের
এই
সফরের
কারণ
জানিয়েছি
এবং
তাঁরা
রাজিও
হয়েছেন
বন্য
প্রাণী
রক্ষা
করতে।’
Rathindra Das: In this journey we are going to various tiger reserves across the country. I speak to people&try to motivate them to protect wildlife. We have already covered 28 states & 5 Union Territories. Now we are going to Similipal National Park in Mayurbhanj. #Odisha https://t.co/lM1YnUAGiR pic.twitter.com/VAc3cIwnDu
— ANI (@ANI) October 29, 2019
রথীন্দ্র আরও বলেন, 'এই সফরের মূল্য লক্ষ্য হল মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো এবং মনুষ্যজীবনে বাঘেদের ভূমিকা কি তা বোঝানো তাদের। অরণ্যের কারণেই আমরা খোলা আকাশের নীচে নিঃশ্বাস নিতে পারি আর বাঘেদের জন্য বাকি রয়েছে শুধু এই জঙ্গল। আমরা শুধু শহর এবং গ্রামকেই নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করিনি, রাজ্যের ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলিকেও বাদ দিইনি। আমরা ওড়িশার সাতকোশিয়া ব্যাঘ্র সংরক্ষণে বুধবার সকালেই পৌঁছেছি।’ এরপর তাঁরা ময়ূরভঞ্জের সিমলিপালে যাবেন। তিনি জানিয়েছেন এই সফরের জন্য তাঁকে কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সোশ্যাল মিডিয়ার যোগাযোগ থেকে সহায়তা পেয়েছেন।
বন্য প্রাণী এবং গাছ সংরক্ষণের আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রাফিকের এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ২০০০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রত্যেক বছর ১২৪টি করে বাঘকে হত্যা করা হচ্ছে। গত ১৮ বছরে মোট ২,৩৫৯ টি বাঘের বিভিন্ন অঙ্গ–প্রতঙ্গ উদ্ধার হয়েছে বিশ্বের ৩২টি দেশ থেকে।
৩১ অক্টোবর ঘিরে কেন জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কা! রাজধানীতে জারি অ্যালার্ট