বাথরুমের বালতিতে ‘সলিল সমাধি’ একরত্তি শিশুর, মর্মান্তিক ঘটনায় শূন্য মায়ের কোল
বাড়ির কাজে ব্যস্ত মা টেরও পাননি দস্যি ছেলের এই কাণ্ড। খেয়াল হতেই রাজগোপাপালের খোঁজ পড়ল। দুধের শিশুর খোঁজে বাথরুমে ঢুকেই চক্ষু চড়কগাছ মায়ের।
হঠাৎ খেলতে খেলতে বাথরুমে ঢুকে গিয়েছিল বছর দেড়েকের ছোট্ট রাজগোপাল। বাড়ির কাজে ব্যস্ত মা টেরও পাননি দস্যি ছেলের এই কাণ্ড। খেয়াল হতেই রাজগোপাপালের খোঁজ পড়ল। দুধের শিশুর খোঁজে বাথরুমে ঢুকেই চক্ষু চড়কগাছ মায়ের। ভরা বালতিতে মাথা গুঁজে পড়ে রয়েছে নিথর ছোট্ট দেহটা। সঙ্গে সঙ্গে কোলে তুলে নিয়ে ছুটেছিলেন ডাক্তারখানায়। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। মর্মান্তিক মৃত্যু কেড়ে নিয়েছে একরত্তি প্রাণ।
মেটিয়াব্রুজের ব্রাহ্মসমাজ লেনের ঘটনা। যেখানে নরেশ বেহড়ার ছোট ছেলে রাজগোপালের সলিল সমাধি হল বাথরুমে রাখা বালতির জলে পড়ে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বালতির জলে নিজের প্রতিবিম্বই কাল হল। তা দেখতে গিয়ে বালতির জলে মাথা গুঁজে পড়ে মৃত্যু হল তার। তবে এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সবে মাত্র হাঁটতে শিখেছিল ছোট্ট রাজগোপাল। তা-ই কাল হল বেহড়া পরিবারে। হাঁটি হাঁটি পা পা করে সে পৌঁছে গিয়েছিল বাথরুমে। আর তারপরই বিপত্তি ঘটে গেল। এক মুহূর্তের অসতর্কতায় মায়ের কোল খালি হয়ে গেল। নরেশবাবু কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর বাড়ির কাজগুলি সেরে রাখছিলেন তাঁর স্ত্রী। তখন ড্রয়িংরুমেই ছিল রাজগোপাল।
কখন যে তারই ফাঁকে বাথরুমে ঢুকে গিয়েছিল ছোট্ট রাজগোপাল খেয়ালই করেননি তিনি। আর যখন খোঁজ পড়ল তখন আর কিছুই করার নেই। ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। নরেশবাবুর স্ত্রীর আর্ত চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনায় শোকাহত আবাসনের সমস্ত আবাসিকরা।