তন্ত্রসাধনার নামে বধূকে মন্ত্রপুতঃ জল খাওয়াল ‘তান্ত্রিক’, তারপর যা ঘটল
বাড়িতে নিত্য অশান্তিতে বিব্রত ছিলেন। তাই তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হন তিনি। তান্ত্রিক তাঁকে আশ্বস্ত করে জানায়, ঝাড়ফুঁক করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
এক মহিলার অন্ধবিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তন্ত্রসাধনার নামে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা চালাল এক 'তান্ত্রিক'। এরপর মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তান্ত্রিককে গণপ্রহার দেয় স্থানীয় জনতা। অভিযুক্তকে উত্তম-মধ্যমের পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা সল্টলেকের বিডি ব্লকে।
বিডি ব্লকের বাসিন্দা ওই মহিলা। বাড়িতে নিত্য অশান্তিতে বিব্রত ছিলেন। তাই তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হন তিনি। তান্ত্রিক তাঁকে আশ্বস্ত করে জানায়, ঝাড়ফুঁক করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সেইমতো শনিবার মহিলার ফ্ল্যাটে যায় ওই তান্ত্রিক। সেইসময় বাড়িতে একাই ছিলেন মহিলা। সেই সুযোগে ফ্ল্যাটে ঢুকে মহিলার শ্লীলতাহানি করে সে। ধর্ষণের চেষ্টাও চালানো হয় তন্ত্র সাধনার নামে।
মহিলার অভিযোগ, তাঁকে প্রথমে 'মন্ত্রপুত' জল খাওয়ানো হয়। তারপর নানা অছিলায় তাঁর শরীরে কোথায় তিল রয়েছে, তা দেখার জন্য পোশাক খুলতে বলে। গোপনাঙ্গও দেখতে চায়। তখনই চিৎকার-চেঁচামিচি শুরু করেন মহিলা। তখনই পালিয়ে যায় ওই ভণ্ড তান্ত্রিক।
এদিকে চিৎকার চেঁচামিচি শুনেই ছুটে আসেন পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা। আচ্ছন্ন অবস্থায় ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় মহিলাকে, খবর দেওয়া হয় মহিলার স্বামীকে। তিনি এসে স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ হলে মহিলা তান্ত্রিকের কু-কর্মের কথা খুলে বলেন সবাইকে। মহিলার মুখে ঘটনাবৃত্তান্ত শুনে ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা এরপর চড়াও হন ওই তান্ত্রিকের উপর।
ওই ভণ্ড তান্ত্রিকের নাম আসলে সামসের আলি। পাশের ফ্ল্যাটেই কেয়ারটেকারের কাজ করত সে। তাকে ধরে এরপর বেধড়ক গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। ওই মন্ত্রপুতঃ জল আসলে মাদক মেশানো ছিল। গণধোলাইয়ের পর অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই মহিলার ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি কী করে একটা বাইরের লোকের উপর ভরসা করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে।