ভাতের হাঁড়িতে ফেলে নৃশংস খুন! যমে-মানুষে টানাটানির পর হার মানল দুধের শিশু
পাঁচ দিনের লড়াই শেষ। চিকিৎসকদের মরণপণ চেষ্টাকে বৃথা করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল উল্টোডাঙার ছোট্ট দীপান্বিতা ভুঁইয়া। শনিবার সকালে এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
পাঁচ দিনের লড়াই শেষ। চিকিৎসকদের মরণপণ চেষ্টাকে বৃথা করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল উল্টোডাঙার ছোট্ট দীপান্বিতা ভুঁইয়া। শনিবার সকালে এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বাড়িওয়ালা-ভাড়াদিয়া বিবাদের শোচনীয় পরিণতির শিকার হতে হল ছোট্ট শিশুকে। গত মঙ্গলবার এক ভাড়াটিয়া তাকে ফুটন্ত ভাতের হাঁড়িতে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ।
এরপর গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, শিশুর শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। এরপরই শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য চিকিৎসকরা সব রকম চেষ্টা করে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। নিভে গেল ২ বছর ১০ মাসের ছোট্ট দীপান্বিতার জীবনপ্রদীপ। পৃথিবীকে ভালো করে দেখার আগেই সব শেষ। ছোট্ট দীপান্বিতাকে হারিয়ে শোকে পাথর বাবা-মা।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন। ভাড়াটিয়ার সঙ্গে বিবাদ চলছিল বাড়িওয়ালা সুষেন ভুঁইয়া ও ভাড়াটিয়া রাজকুমা শায়ের মধ্যে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িভাড়া দিচ্ছিলেন না রাজকুমারী। তা নিয়েই বিবাদ চরমে ওঠে। অভিযোগ, নিজের ঘরের সামনেই যখন খেলছিল দীপান্বিতা, তখন রাজকুমারী তাকে ধাক্কা মারে। ফুটন্ত ভাতের হাঁড়ির উপর পড়ে যায় সে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ দায়ের করা হয় থানাতেও।
অভিযোগ, পুলিশ সক্রিয় হয়নি। কোনও রিপোর্টও করেনি। শিশুটির মৃত্যুর পর পুলিশ সক্রিয় হয়েছে। তবে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি রাজকুমারীকে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বেপাত্তা। এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বহু চেষ্টা করেও বাঁচানো গেল না দীপান্বিতাকে। ৭৫ শতাংশ দগ্ধ তো ছিলই, তার উপর ঘটনার অভিঘাত থেকে তাকে বের করে আনা যায়নি। ফলে তাকে বাঁচানোও গেল না। সব চেষ্টা বৃথা হয়ে গেল।