কলকাতার ফ্ল্যাট–বহুতলেই ৭৭ শতাংশ কনটেইনমেন্ট জোন, অভাব রয়েছে পুলিশি নজরদারির
কলকাতার ফ্ল্যাট–বহুতলেই ৭৭ শতাংশ কনটেইনমেন্ট জোন , অভাব রয়েছে পুলিশি নজরদারির
করোনা ভাইরাসে শীর্ষে রয়েছে কলকাতার নাম। শহরে সম্প্রতি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা। ১,৮৭২টি কনটেইনমেন্ট জোনের মধ্যে ৭৬.৭ শতাংশ বহুতল ও আবাসনের কমপ্লেক্স। দক্ষিণ কলকাতার ১৮টি ক্লাস্টারে এটি ছড়িয়ে রয়েছে।
বহুতল–ফ্ল্যাটেই বেশি কনটেইনমেন্ট জোন
রাজ্য সরকারের কনটেইনমেন্টে জোনের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে যে কলকাতায় ৬৮৯টি বহুতলই কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে রয়েছে এবং ৭৪২টি ফ্ল্যাট বা আবাসনে রয়েছে এই জোন। এইসব এলাকা থেকে যেহেতু বেশ কয়েকটি কেসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তার জন্য পুলিশ ইঙ্গিত দিয়েছে যে এইসব এলাকায় কঠোরভাবে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘এইসব নির্দিষ্ট এলাকায় লকডাউন জারি। এইসব এলাকায় বহিরাগতেদর প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। আমরা এটাও নিশ্চিত করব যে বাজার, বাস স্টপ ও গণ পরিবহনে যেন সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকে। মাস্ক না পড়লে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে ধরা হবে।'
আইসোলেটেড কনটেইনমেন্ট জোনে কিছুটা স্বস্তি
আইসোলেটেড কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে বিধি-নিয়মে শিথিলতা রয়েছে। যেখানে একজন কোভিড রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আইসোলেটেড রয়েছে তাদের পরামর্শ দেওয়া হবে যে বাইরে এখন যেন তারা না বে হয়। তবে যেখানে একটা আবাসন চত্ত্বরের মধ্যে চার-পাঁচটা কেস ধরা পড়েছে এবং সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, সেখানে দ্রুত পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে এবং কড়া নিয়ম জারি করা হয়েছে। কলকাতায় এই মুহূর্তে ১৮টি কনটেইনমেন্ট জোন ও ১,৮৭২টি আইসোলেশন ইউনিট রয়েছে। দুর্ঘটনাবশত সব কনটেইনমেন্ট জোনগুলি আবাসন।
জনা কয়েক পুলিশ নিয়ে নজরদারি
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ভবানিপুর ও কাঁকুড়গাছির পাঁচটি কনটেইনমেন্ট জোন পরিদর্শনে যায়, যেখানে ক্লাস্টার প্রকোপ ছিল। উত্তর চক্রবেড়িয়াতে গিয়ে দেখা গেল দু'টো প্রবেশপথে ব্যারিকেড দেওয়া এবং সেখানে চারজন পুলিশ ২২টি ফ্ল্যাটের জন্য মোতায়েন করা রয়েছে। শরৎ বোস রোডে ২৪টি ফ্ল্যাটের জন্য মাত্র দু'জন পুলিশ।
কনটেইনমেন্ট জোনে দেখা নেই পুলিশের
কাঁকুড়গাছিতে কনটেইনমেন্ট জোনের উভয় দিকেই ব্যারিকেড দেখা যাচ্ছে। একদিকে একজন পুলিশ রয়েছে পাহারায় অন্যদিকে কোনএ পুলিশ নেই। কনটেইনমেন্ট জোনের বিপরীতে থাকা দোকান তখনও খোলা রয়েছে। একজন পুলিশ বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে যাচ্ছি।' বালিগঞ্জ ও ভবানিপুরের বহুতল, আবাস ও একক ফ্ল্যাটগুলি থেকে নতুন কেসের সন্ধান মিলেছে। উল্টাডাঙা-কাঁকুড়গাছি এলাকায় বহু কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি হয়েছে, এখান থেকে নতুন করে করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়ায় কেএমসির স্বাস্থ্য দপ্তর এখানে পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ভবানিপুর, শরৎ বোস রোড ও হাজরা পার্কে অতিরিক্ত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস বিশ্বে বহু বছর ধরে সুপ্ত অবস্থায় ছিল! এরপর কী ঘটেছে, জানাল গবেষণা