ডিএ-র ধাক্কায় ভাঙন তৃণমূলে! মুকুলের হাত ধরে সরকারিকর্মীরা দলে দলে বিজেপিতে
তৃণমূল সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনে ভাঙন ধরালেন মুকুল রায়। তৃণমূল সরকারি কর্মচারী সংগঠন ছেড়ে পাঁচ শতাধিক সদস্য বিজেপিতে যোগ দিলেন।
ফের ভাঙন তৃণমূল কংগ্রেসে। এবার তৃণমূল সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনে ভাঙন ধরালেন মুকুল রায়। তৃণমূল সরকারি কর্মচারী সংগঠন ছেড়ে পাঁচ শতাধিক সদস্য বিজেপিতে যোগ দিলেন। বুধবার রাজ্যে বিজেপি দফতরে তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
[আরও পড়ুন:বিশ্ববাংলায় আইনি-যুদ্ধে আপাত স্বস্তি মুকুলের! অভিষেককে দিলেন নয়া প্যাঁচ]
মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার শুরু থেকেই তৃণমূলের নিচুতলাকে টার্গেট করেছেন। তৃণমূলকে ফোঁপরা করে দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য। সেইমতোই তিনি নিচুতলার নেতা ও কর্মীদের বিজেপিতে ভেড়ানোর কাজ করে চলেছেন চুপিসারে। শুধু রাজনৈতিক কর্মীদেরই নন, তিনি সরকারি কর্মীচারী সংগঠন-সহ অন্যান্য সংগঠনের দিকেও যে নজর রেখেছেন, তার প্রমাণ পাওয়া গেল এবার।
তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন ইউনিয়নের কোর কমিটির নেতা সমীর ভট্টাচার্য ও লতিকা মণ্ডলের নেতৃত্বে ২০০ জনকে এদিন বিজেপিতে যোগ দেন। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্যদের তৃণমূল কর্মচারী সমিতির সুশান্ত মজুমদারের নেতৃত্বেও ২০০ জন যোগ দেন বিজেপিতে। আর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল কর্মী সংগঠন থেকে মনোতোষ বিশ্বাস ও সুবীর শীলের নেতৃত্বে প্রায় ১০০জন সরকারি কর্মী বিজেপির ছত্রছায়ায় আসেন।
প্রত্যেকেই এদিন বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে। মুকুল রায় ও সায়ন্তন বসুর হাত থেকে বিজেপির পতাকা নিয়ে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র সরকার সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে পারে না। শুধু রাজ্যে মেলা আর উৎসব করে বেড়ায়।
তিনি বলেন, এইসব কারণেই বীতশ্রদ্ধ হয়ে সরকারি কর্মীরা বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন। রাজ্য সরকারি কর্মীদের অবহেলার জবাব পাবে তৃণমূল। টুইট করে কর্মচারীদের ডিএ বাকি নেই জানানোর মাশুল গুণতে হবে তৃণমূলকে। ভাঙনের সবে শুরু হয়েছে। এরপর দলে দলে কর্মচারীরা ভিড় করবেন বিজেপির দিকে।