ভালোবাসার সুরক্ষা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ৪ সমকামী মহিলা
সমকামিতা বৈধ, জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তা সত্ত্বেও দুই সমকামী মহিলা যুগলের বৈবাহিক সম্পর্কে সমাজ ও পরিবার বাধা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই ভালোবাসার সুরক্ষা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বাংলার ওই চার কন্যা।
সমকামিতা বৈধ, জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তা সত্ত্বেও দুই সমকামী মহিলা যুগলের বৈবাহিক সম্পর্কে সমাজ ও পরিবার বাধা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই ভালোবাসার সুরক্ষা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বাংলার ওই চার কন্যা।
বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় মামলাটি গ্রহণ করেন মঙ্গলবার। আগামী ৩০ মে মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। সেদিন দু-পক্ষকেই হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী পরিবারের বিরুদ্ধে সম্মান রক্ষার্থে চার সমকামী কন্যাকে খুনের চক্রান্তের অভিযোগ আনেন। ওই মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশকে নির্দেশও দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি।
জানা গেছে, শ্রীরামপুরের বাসিন্দা এক মহিলার সঙ্গে গত দেড় বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা কল সেন্টার কর্মী। বৈবাহিক জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মাস খানেক আগে শ্রীরামপুরের ওই মহিলা কলকাতায় তাঁর প্রেমিকার বাড়িতে চমে আসেন। সেই থেকে দুজনে একই সঙ্গে রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের বিচ্ছিন্ন করতে পরিবারের সদস্যরা উঠেপড়ে লেগেছেন বলে অভিযোগ। সমকামী দুই মহিলাকে নিয়মিত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এক পুলিশ কর্মীকে দিয়ে ফোন করিয়েও তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ওই দুই সমকামী মহিলার।
অন্যদিকে কলকাতার আনন্দপুরের বাসিন্দা এমবিএ করা এক মহিলা পারিবারিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সঙ্গিনীর বাড়িতে ঠাঁই নেন। কিন্তু সেখানেও তাঁদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো পাশাপাশি নানা ধরনের কুকথা বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
যদিও এ ব্যাপারে মামলাকারীদের আইনজীবীর মুখে 'অনার কিলিং' শুনেই আঁতকে ওঠেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনজীবীকে কার্যত ধমক দিয়ে বললেন, অনার কিলিং এই রাজ্যে হয় না।