শুরু হল ৩৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা
বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড জানিয়েছে, মেলায় পাঁচটি প্রেক্ষাগৃহ থাকছে। এগুলির নামকরণ করা হয়েছে পাঁচজন যশস্বীর নামে। যথা, কমলকুমার মজুমদার হল, নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ি হল, স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় হল, রামতনু লাহিড়ী হল এবং প্যারীচাঁদ মিত্র হল। সদ্যপ্রয়াত মহানায়িকাকে স্মরণ করে তৈরি করা হয়েছে সুচিত্রা সেন মণ্ডপ। এখানে দর্শকরা মহানায়িকার নানা দুর্লভ ছবি দেখতে পারবেন। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণের রাস্তাগুলির নামকরণ করা হয়েছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ, শৈবাল মিত্র, ঋতুপর্ণ ঘোষ প্রমুখ গুণীজনের নামে।
এবারের বইমেলায় বিশেষ আকর্ষণ হল কলকাতা ভাষা-সাহিত্য উৎসব। এই উৎসবে যোগ দেবেন উষা উত্থুপ, রূপম ইসলাম প্রমুখ। উৎসব দেখতে আগ্রহীরা মেলা প্রাঙ্গণে গিল্ডের অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
গিল্ড সূত্রে বলা হয়েছে, বইমেলায় 'জীবনব্যাপী সাহিত্য সম্মান' তুলে দেওয়া হবে সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের হাতে। 'প্রতিশ্রুতি সাহিত্য সম্মান' দেওয়া হবে কবি শ্রীজাতকে। লিটল ম্যাগাজিনে বিশেষ কৃতিত্বকে স্বীকৃতি জানিয়ে পুরস্কৃত করা হবে 'রক্তকরবী' পত্রিকাকে।
৩৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার আরও আকর্ষণ 'বই লাক', 'বুক প্রিভিলেজ কার্ড' এবং 'লেখক কর্নার'। 'বই লাক' হল, ৪০৯ নম্বর স্টলে ৫০০ টাকার বই কিনলে বইপ্রেমীরা নিজেদের ভাগ্য যাচাইয়ের সুযোগ পাবেন। প্রতিদিন ৫০০০ টাকার বাম্পার গিফট কুপন এবং ১০টি ৫০০ টাকার সান্ত্বনা গিফট কুপন পাওয়া যাবে। তবে সব কুপন পাবেন বই কেনার জন্য। 'বুক প্রিভিলেজ কার্ড'-এর জন্য গিল্ডের ওয়েবসাইটে যাঁরা নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাঁরা ৪০৯ নম্বর স্টল থেকে নিজেদের কার্ড সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। যে কোনও স্টলে সেই কার্ড দেখিয়ে ১৫ শতাংশ কম দামে বই কিনতে পারবেন। আর 'লেখক কর্নার'-এ যথারীতি লেখকরা নিজেদের বইয়ে স্বাক্ষর করে তা তুলে দেবেন পাঠকদের হাতে।
এবারের কলকাতা বইমেলায় 'থিম কান্ট্রি' হল পেরু। লাতিন আমেরিকার এই দেশটি সম্পর্কে তথ্যচিত্র, সিনেমা ইত্যাদি দেখানো হবে। বইমেলা উপলক্ষে ইএম বাইপাসে যান নিয়ন্ত্রণ করবে কলকাতা পুলিশ। মেলা প্রাঙ্গণে এবারও থাকবেন সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীরা। বইমেলা থেকে বেরিয়ে মানুষ যাতে সহজে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন, সেই জন্য অতিরিক্ত বাস চালাবে রাজ্য সরকার।