পুলিশের মারে যুবকের মৃত্যু? ক্লোজ করা হল গল্ফগ্রিন থানার তিন পুলিশ কর্মীকে
পুলিশেরর মারে যুবকের মৃত্যু! তুলে নিয়ে নিয়ে মারধরের অভিযোগ। আর সেই মারেই যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ। মৃত ওই যুবকের নাম দীপঙ্কর সাহা বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে লা
পুলিশেরর মারে যুবকের মৃত্যু! তুলে নিয়ে নিয়ে মারধরের অভিযোগ। আর সেই মারেই যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ। মৃত ওই যুবকের নাম দীপঙ্কর সাহা বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে লালবাজার। এমনকি ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ কমিশনার।
শুধু তাই নয়, যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় আজ শনিবার তিন পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক, কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ার। ক্লোজ হওয়া তিনজনই গল্ফগ্রিন থানায় কর্মরত বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি ডিসির নেতৃত্বে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে বলেও লালবাজার সূত্রে খবর।
ইতিমধ্যে থানার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে। বিষয়টি পুলিশ যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। যদিও পুলিশের তদন্তে ভরসা নেই বলেই জানিয়েছে দীপঙ্কর সাহা'র পরিবার। তাঁদের দাবি, ময়নাতদন্তের সময়ে পরিবারের সদস্যদের রাখা হবে বলে জানানো হয়েছিল।
কিন্তু সবার নজর এড়িয়েই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের। যদিও পুলিশের দাবি, কাউকে দোষী পাওয়া গেলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে পরিবারের দাবি, গত কয়েকদিন আগেই দীপঙ্করকে জেরার জন্য বাড়ি থেকে নিয়ে যায় গল্ফগ্রিন থানার পুলিশ।
এরপর দীর্ঘক্ষণ পর আজাদগড় মোড় থেকে দীপঙ্করকে উদ্ধার করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সময়েই তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি ঘটনার পর আরও দীপঙ্কর আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে দাবি পরিবারের। এরপরেই স্থানীয় শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় দীপঙ্করকে।
এরপর বৃহস্পতিবার রাতে ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শুক্রবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। আর এরপরেই পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয় পরিবার। অভিযোগ, পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে দীপঙ্করের। ইতিমধ্যে পরিবারের তরফে শরীরে একাধিক আঘাতের ছবি সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।
যা একেবারে শিউরে ওঠার মতো। ঘটনার পরেই পরিবারের তরফে পুলিশ কমিশনার ও ডিসি সাউথ সাবার্বান ডিভিশনে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেই খবর। বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে।