ভোটের পথ প্রস্তুত হচ্ছে, একসঙ্গে রাজ্যে ২৪ আইপিএস বদল, কারা এলেন, কারা গেলেন জেনে নিন
ভোটের পথ প্রস্তুত হচ্ছে, একসঙ্গে রাজ্যে ২৪ আইপিএস বদল, কারা এলেন, কারা গেলেন জেনে নিন
ভোটের দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে রাজ্য। রাজনৈতিক দলগুলি কোমর বেধে নেমে পড়েছে প্রচার ময়দানে। প্রশাসনিক স্তরেও শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। প্রশাসনিক রদবদল শুরু হয়ে গেল। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন সেকথা। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে সরিয়ে সেখানে আনা হয়েছে সৌমেন মিত্রকে। এছাড়াও হাওড়া, ব্যারাকপুর, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর সহ একাধিক জায়গায় পুলিস সুপারদের বদল করা হয়েছে।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সৌমেন মিত্র। এডিজি সিআইডি পদে পাঠানো হয়েছে অনুজ শর্মাকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৬-র ভোটে কলকাতার পুলিশ কমিশনার ছিলেন সৌমেন মিত্র। কাজেই একুশের বিধানসভা ভোটেও সৌমেন মিত্রের উপরেই ভরসা করছেন। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার পদে বসানো হয়েছে অজয় নন্দকে। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার হলেন সি সুধাকর। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার হয়েছেন সুপ্রতিম সরকার। রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের এডিজি পদে বসানো হয়েছে জ্ঞানবন্ত সিংকে। এডিজি আইন শৃঙ্খলা হয়েছে জাভেদ শামিম।
মুলত মমতা তাঁর পছন্দের লোকেদেরই পুনরায় বিভিন্ন জেলার পুলিশের দায়িত্বে বসানো হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাতন কমিশন। সূত্রের খবর ১৬ ফেব্রুয়ারির পরেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। তার তোরজোর শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোটের আগেই বেশ কয়েক দফায় রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক হয়ে কাজ করার কথা বলেছেন।
এদিকে বিজেপি নির্বাতন কমিশনে গিয়ে পক্ষপাত দুষ্ট পুলিশ অফিসারদের সরানোর দাবি জানিয়ে এসেছে। একইসঙ্গে ১০ দফায় ভোট করানোর দাবি জানিয়েছে বিজেপি। ১০ দফায় ভোট করালে তবেই রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে রাজ্যের প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিজেপি।