হাইকোর্টের দ্বারস্থ ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীরা! ধর্মেন্দ্র প্রধানের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি বিজেপি সাংসদের
কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীরা। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ চাকরি প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাতে করুণাময়ী থেকে আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের জোর খাটিয়ে
কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীরা। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ চাকরি প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাতে করুণাময়ী থেকে আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের জোর খাটিয়ে তুলে দেয় পুলিশ। একেবারে চ্যাং ধোলা করে মধ্যরাতে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় অনশনকারী চাকরি প্রার্থীদের।
আর এই ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আন্দোলনকারীরা। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির সচিবালয়ে সঙ্গে যোগাযোগ করেন টেট আন্দোলনকারীরা। রাতেই কোর্ট বসিয়ে জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানির আবেদনও জানানো হয়। আদালত এই বিষয়ে মামলা করার অনুমতি দেয়।
সেই মতো ডিভিশন বেঞ্চে আজ শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলা ফাইল হয়েছে। যেখানে আবেদনকারীদের দাবি, পুলিশ জোরে করে তাঁদের তুলে দেয়। এমনকি তাঁদের বক্তব্য না শুনেই আদালত রায় দিয়েছে বলে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন আবেদনকারীদের। খুব শীঘ্রই এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে টেট কেলেঙ্কারি নিয়ে এবার কেন্দ্রকে চিঠি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের। এমনকি এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন তিনি। আর এই মর্মেই বিস্তারিত জানিয়ে আজ শুক্রবার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। এই বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা সচিবকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবিও জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ।
যদিও এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছু বলা হয়নি। বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন ধরে ন্যায্য চাকরির দাবিতে সল্টলেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কয়েকশ যোগ্য প্রার্থী। এরপর রাতে পুলিশ যেভাবে তাঁদের তুলে দেয় এর প্রতিবাদে আজ সর্বস্তরে বিক্ষোভের ঝড়। একেবারে রাজপথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ডান-বাম সমস্ত রাজনৈতিক দলই।
সকাল থেকেই সল্টলেকের বিভিন্ন অংশে বিক্ষোভ দেখাছে বামেদের ছাত্র যুব সংগঠনগুলি। তা নিয়ে একেবারে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। আর এর রেশ কাটতে না কাটতেই কলকাতায় পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি বিধায়ক এবং সাংসদরা। যা নিয়ে উত্তাল ধর্মতলা। এমনকি অধীর চৌধুরীর নেত্ররতবে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কংগ্রেসও। যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা সর্বত্র।
যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই বিষয়ে যা বলার ব্রাত্য বসু বলবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমি আন্দোলন কারীদের ভালোবাসী। তবে তা অবশ্যই ন্যায্য হতে হবে বলে মন্তব্য তাঁর। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
নতুন করে ফের উত্তেজনা করুণাময়ীতে, জমায়েতের অনুমতি নেই জানাল পুলিশ