পুজোয় বাঙালির পাতে ইলিশের অভাব হবে না, বাংলাদেশ থেকে এল সুখবর
পুজোয় বাঙালির পাতে ইলিশের অভাব হবে না, বাংলাদেশ থেকে এল সুখবর
দুর্গাপুজোয় বাঙালির রসনাতৃপ্তির সুখবর শোনাল বাংলাদেশ। রাজ্যে এলো ২০০ মেট্রিকটন ইলিশ। দুর্গাপুজোয় এবার আর পদ্মার ইলিশের স্বাদের অভাব হবে না। পেটপুরে ইলিশ পেটে পুরতে পারবেন ভোজন রসিক বাঙালি। করোনা কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ থাকায় এবার আর তেমন ইলিশের যোগান হয়নি রাজ্যে। যার জন্য ইলিশ খাওয়ার সাধ অপূর্ণই রয়ে গিয়েছিল বাঙালির।
ইলিশ এলো রাজ্যে
পুজোর আগেই ২০০ মেট্রিকটন ইলিশ এলো রাজ্যে। দুই দফায় বাংলাদেশ থেকে পদ্মার ইলিশ এসেছে রাজ্যে। দুর্গাপুজোর কারণেই এই ইলিশ বাংলায় পাঠানোর উদ্যোগ হাসিনা সরকার নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বেনাপোল সীমান্ত সিয়ে ১ হাজার ৮৭৫ মেট্রিকটন ইলিশ ঢুকেছে রাজ্যে। যার দাম প্রায় ১,৮৭,৫০,০০০ মার্কিন ডলার। প্রায় ১০০০ টাকা কেজি দরে সেই ইলিশ এসেছে ভারতে।
ইলিশ রপ্তানি বাংলায়
বাংলাদেশের ২০০ জন ব্যবসায়ী ভারতে ইলিশ রপ্তানির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সকলকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু করোনা ধাক্কায় দেশের বাণিজ্য একেবারেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলেই পদ্মার ইলিশ রপ্তানিক অনুমতি দিয়েছে হাসিনা সরকার। কারণ দেশের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়েই ২০১২ সাল থেকে বাইরে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ সরকার।
বেশি আমদানি ইলিশের
এবার বাংলাদেশের বাজারে ইলিশ বেশি আমদানি হয়েছে। বর্ষার মরশুমে পদ্মার ইলিশের যোগান বেশি হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। সেকারণে লাভ ঘরে তুলতেই ভারতে ইলিশ রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হয়। বাংলাদেশে এবার অস্বাভাবিক সস্তায় বিক্রি হয়েছে ইলিশ।
দুর্গাপুজোয় রসনা তৃপ্তি
করোনার কারণে এবার দুর্গাপুজোয় প্যান্ডেল হপিংয়ের তেমন কেউ বেরোবেন না। তাই রসনা তৃপ্তিতেই বেশি মন দেবেন সকলে। তার উপরে রেস্তোরাঁগুলিরও সংকট কাটবে। ইলিশ মেনুতে থাকলে অনেকেই খাবার আগ্রহ দেখাবেন। বাজারেও ইলিশের দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।