শুধু ১৭ কোটিই নয়! আমির খানের ওয়ালেটে ১৪ কোটি টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সির খোঁজ
আমির খানের আরও কোটি কোটি সম্পত্তির হদিশ! বাড়ি থেকে ১৭ কোটি টাকারও বেশি উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যে আমির খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর তাঁকে জেরা করেই ইতিমধ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, ওয়ালে
আমির খানের আরও কোটি কোটি সম্পত্তির হদিশ! বাড়ি থেকে ১৭ কোটি টাকারও বেশি উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যে আমির খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর তাঁকে জেরা করেই ইতিমধ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, ওয়ালেটে ১৪ কোটি টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সি হদিশ পেল কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা।
আর এরপরেই ওই ওয়ালেট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু কোটি কোটি টাকার এই ক্রিপ্টোকারেন্সি কীভাবে কোথা থেকে এল সেটাই ভাবাচ্ছে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের। এই মুহূর্তে দফায় দফায় আমির খানকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা।
জাল বাংলাদেশে পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে
অন্যদিকে দফায় দফায় ধৃত আমির খানকে জেরা করছেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে বেশ কিছু তথ্য এবং নথি পেয়েছেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, আমির একা নয়, তাঁর একাধিক সহযোগী বড়সড় এই কেলেঙ্কারির পিছনে রয়েছে। শুধু তাই নয়, কলকাতা ছাড়াও এর জাল বাংলাদেশে পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে বলেও খবর। সে দেশের বহু যুবক এই কেলেঙ্কারির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা খুইয়েছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন কোটি কোটি টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে পরিণত করেছিলেন আমির। তবে এই বিষয়ে আরও জেরা করা হচ্ছে আমিরকে। এমনকি বিশাল পরিমাণ এই টাকা আর কোথায় কোথায় বিনিয়োগ হয়েছে সে বিষয়েও আমিরকে জেরা করছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি তাঁর বাবাকেও জেরা করতে পারে কলকাতা পুলিশ। এমনটাই খবর।
বিপুল টাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছে
তদন্তকারীরা মনে করছে বিপুল টাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছে আমির। এমনকি তাঁর বাবার পরিবহণ ব্যবসাতেও বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও আমিরের সম্পত্তিও নিয়েও ইতিমধ্যে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। এমনকি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে নজর তদন্তকারীদের। এছাড়াও একাধিক ডিজিটাল ওয়ালেটের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেগুলিও এই মুহূর্তে পুলিশের স্ক্যানারে আছে বলেই খবর।
১৭ কোটি টাকারও বেশি উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট
বলে রাখা প্রয়োজন, গত সপ্তাহ খানেক আগে আমির খানের গার্ডেনরিচের বাড়ি থেকে একেবারে নগদ ১৭ কোটি টাকারও বেশি উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দীর্ঘ তল্লাশিতে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়। মূলত গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা করতেন আমির। যদিও ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত এই আমির খানের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। আর এরপরেই গত কয়েকদিন আগে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত এই আমিরকে। আর এরপরেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে।