একেবারে যখের ধন! গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে ১২ কোটি টাকার বিট কয়েন পেল ইডি
আমির খানের আরও কোটি কোটি সম্পত্তির হদিশ! মঙ্গলবারই অভিযুক্তের ওয়ালেট থেকে প্রায় ১৪ কোটি টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সি উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ফের ফের কোটি টাকার হদিশ। এবার বড় সাফল্য পেল কেন্দ্রীয় তদন্ত
গার্ডেনরিচ-কান্ডে ধৃত আমির খানের আরও কোটি কোটি সম্পত্তির হদিশ! মঙ্গলবারই অভিযুক্তের ওয়ালেট থেকে প্রায় ১৪ কোটি টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সি উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ফের ফের কোটি টাকার হদিশ। এবার বড় সাফল্য পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টর।
ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং বিটকয়েন হিসেবে ব্যবহৃত ১২ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল তদন্তকারী সংস্থা।
ই-নাগেট অনলাইন গেমিং অ্যাপের কোটি কোটি টাকা প্রতারণাতে অভিযুক্ত আমির খান। আর সেই মামলার সুত্র ধরেই আজ বুধবার কলকাতার তিন জায়গাতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেহালা, আহিরিটোলা সহ বিভিন্ন জায়গাতে তল্লাশি চলে ইডি।
সেই মতো বি কে পাল অ্যাভিনিউয়ের একটি বাড়িতে হানা দেন ৭ জনের একটি ইডির টিম। প্রায় সেখানে কয়েক ঘন্টা হয়ে গিয়েছে তল্লাশি চলছে তদন্তকারী সংস্থার। এমনকি সেই বাড়ির অন্যান্য সদস্যদেরও দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। ইডি সূত্রে খবর, ওই বাড়ির এক সদস্যের ক্রিপ্টো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতেন আমির খান। আর সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই ১২ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা বিটকয়েন পাওয়া গিয়েছে। কয়েকশ কোটি টাকার এই বিট কয়েন কেন রাখা হয়েছিল সে বিষয়ে এই মুহূর্তে জেরা চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, গত সপ্তাহ খানেক আগে আমির খানের গার্ডেনরিচের বাড়ি থেকে একেবারে নগদ ১৭ কোটি টাকারও বেশি উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দীর্ঘ তল্লাশিতে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়। মূলত গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা করতেন আমির। যদিও ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত এই আমির খানের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। আর এরপরেই গত কয়েকদিন আগে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত এই আমিরকে।
ইতিমধ্যে তাঁকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর কিছু তিথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এমনকি মঙ্গলবার ১৪ কোটি টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সি উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। আর এরপরে আজ বুধবার দের কোটি টাকা মূল্যের বিট কয়েন উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
তবে এখানেই শেষ নয়, তদন্তকারীরা মনে করছেন, গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে কয়েকশ কোটি টাকা কেলেঙ্কারি হয়েছে। টাকার পরিমাণ প্রায় ৭০ কোটি টাকার কাছাকাছি বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত গার্ডেনরীচের বাড়ি থেকে ১৭ কোটি টাকা এবং বিটকয়েনেও আরও ২৭ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকি টাকার খোঁজে জোর তল্লাশি তদন্তকারী সংস্থার।