কলকাতার স্কুলে সমকামিতা ছাত্রীদের! অভিযোগ খারিজে কোমর বাঁধলেন অভিভাবকরা
কিছুদিন আগেই জিডি বিড়লা ও কারমেলের মতো নামী মিশনারি স্কুলে শিশু ছাত্রীর উপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠেছিল শহর কলকাতা। এবার শহরের এক স্কুলে সমকামিতার অভিযোগ।
কিছুদিন আগেই জিডি বিড়লা ও কারমেলের মতো নামী মিশনারি স্কুলে শিশু ছাত্রীর উপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠেছিল শহর কলকাতা। এবার শহরের এক স্কুলে সমকামিতার অভিযোগ উঠল ছাত্রীদের বিরুদ্ধে। কলকাতার কমলা গার্লসে নবম শ্রেণির ১০ ছাত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সোমবার।
এই ঘটনায় অভিভাবকরা নিজেদের মেয়ের পাশে দাঁড়িয়ে স্কুলকে কাঠগড়ায় তোলেন। তাঁদের অভিযোগ, জোর করে সমকামিতার অভিযোগ লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে নাবালিকা ছাত্রীদের দিয়ে। স্কুলের তরফে দাবি, ছাত্রীদের সহপাঠীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তা খতিয়ে দেখি। তারপরই ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ওই ছাত্রীদের আচরণ আমাদেরও সন্দেহ হয়। সেই কারণেই ছাত্রীদের আলাদা ডেকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। ওরা স্বীকারও করে নেয় এই সমকামিতার কথা। তখন আমরা স্কুলের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নিই, অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার। সেই কারণেই ছাত্রীদের দিয়ে বয়ান লেখানো হয়। কোনওরকম জোর করা হয়নি।
এরপর স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকার পাল্টা অভিযোগ, তাঁর ঘরে ঢুকে অভিভাবকরা তাণ্ডব চালায়। অভিভাবকদের আমরা আলোচনার জন্য ডেকেছিলাম। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে এবং স্কুলের পক্ষ থেকে ছাত্রীদের একযোগে বোধানোর দরকার বলে আমরা মনে করেছিলাম। ওই ধরনের কাজ থেকে বিরত করতেই আমরা আলোচনা চেয়েছিলাম। কিন্তু অভিভাবকরা সমস্ত দায় স্কুলের উপর বর্তিয়ে আলোচনা পণ্ড করে দেয়। এবং প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালায়।
অভিভাবকদের দাবি, তাঁদের মেয়েদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। কাঁধে হাত দিলে কিংবা হাত ধরলে তাকে কি সমকামিতা বলে? প্রশ্ন তোলেন অভিভাবকরা। স্কুলের তরফে জানানো হয়, সহপাঠীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তলব করা হয়েছিল অভিভাবকদের। সহপাঠীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার সময় সমকামিতার কথা স্বীকারও করে নেয় ছাত্রীরা। তারপরও স্কুলকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা।