এক কিমকে মেরে নিজের রাজ্যপাট নিশ্চিত করলেন আর এক কিম
কিম জং উনের পাঠানো গুপ্তচররাই কিম জং নামকে খুন করেছে বলে বিভিন্ন সংগঠন থেকে দাবি করা হয়।
উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সৎ ভাই কিম জং নাম ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালে রাসায়নিক হামলায় মারা যান। এই ঘটনা খুন বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। কিম জং উনের পাঠানো গুপ্তচররাই কিম জং নামকে খুন করেছে বলে বিভিন্ন সংগঠন থেকে দাবি করা হয়।
২০০১ সালে জাপানে ভ্রমণের জাল কাগজ থাকায় কিম জং নামকে আটক করা হয়। মালয়েশিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে রাসায়নিক হামলা করে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এখানেও নাম উঠেছে কিম জং উনের। অভিযোগ উনের নির্দেশে চারজন গুপ্তচর নামকে বিষপ্রয়োগ করে হত্যা করে পালিয়ে গিয়েছে।
ঘটনা হল, দুজনের বাবা কিং জং ইল উত্তর কোরিয়ায় শাসক ছিলেন। নাম নিজে উত্তরাধিকার সূত্রে বাবা ইলের কাছ থেকে শাসনভার পাওয়ার দাবিদার ছিলেন। তবে তিনি প্রকাশ্যেই দেশের একনায়কতান্ত্রিক কাঠামোর বিরোধিতা করেছিলেন। বংশ পরম্পরায় শাসনের বিরোধী ছিলেন নাম।
তারপরে বহুদিন দেশের বাইরে ছিলেন কিম জং নাম। তিনি একদশক বাইরে থাকার সুবাদে সৎ ভাই কিম জং উন ২০১০ সালে উত্তরাধিকার সূত্রে শাসকের গদিতে বসেন। তারপরে প্রথমে কাকা জাং সং থেকে ২০১৩ সালে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পরে ২০১৭ সালে নিজের সৎ দাদা কিম জং নামকেও মেরে ফেলেছেন কিম জং উন।
নাম প্রয়াত হওয়ার পরে উত্তর কোরিয়া এই ঘটনায় মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার যোগসাজশের অভিযোগ করে। যদিও সেই অভিযোগ পরে খারিজ হয়ে যায়। উল্টে দাদাকে পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ বারবার উঠেছে কিম জং উনের বিরুদ্ধে।