চিনা অর্থনীতিকে দুরমুশ করতে মার্কিন পদক্ষেপ, বিদায়কালে শেষ হাসি হাসলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প!
ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার সময়েও চিনকে ফের নিশানা করল ট্রাম্প৷ দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের 'দাদাগিরি'র অভিযোগ তুলে শাওমি কর্প সহ নয়টি সংস্থার উপরে বিনিয়োগ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ট্রাম্প প্রশাসন৷ এই ঘটনায় চিনের সঙ্গে আমেরিকার তিক্ততা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ ট্রাম্প প্রশাসনের বিদায় বেলায় এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য কোনও মুখ খুলতে চায়নি বাইডেনের ট্রানজিশন টিম৷

চিন-আমেরিকার সম্পর্কে তিক্ততা ক্রমশ বেড়েছে
গত এক বছর ধরে চিন-আমেরিকার সম্পর্কে তিক্ততা ক্রমশ বেড়েছে৷ বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে আমেরিকা সহ বেস কিছু দেশ সরাসরি চিনকে দায়ি করেছে৷ অন্যদিকে দক্ষিণ চিন সাগরে জিনপিং যেভাবে সমরাস্ত্র সম্ভার বাড়িয়ে চলেছে তাতে এনেকদিন আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল মার্কিন প্রশাসন৷

করোনার প্রকোপে আমেরিকার অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে
প্রসঙ্গত, জো বাইডেনের সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে বারবার ট্রাম্পের নিশানায় চিন উঠে এসেছে৷ বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর চিন-অ্যামেরিকার সম্পর্কের বরফ গলতে পারে বলে অনেকেই মনে করছে৷ তবুও যাওয়ার বেলায় চিনকে ধাক্কা দিতে ছাড়লেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তবে করোনার প্রকোপে আমেরিকার অর্থনীতিতে যে ধাক্কা এসেছে তাতে দেশজুড়ে চিনকেই দায়ি করা হয়েছে৷

আড়াই লক্ষ মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু
করোনায় আড়াই লক্ষ মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু শোক ভুলতে সময় লাগবে৷ এই পরিস্থিতিতে চিনের প্রতি নরম মনোভাব দেখাতে ভাবতে হবে বাইডেনকেও৷ হোয়াইট হাউজ ছাড়তে আর এক সপ্তাহ বাকি নেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের৷ কিন্তু তার মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিত রূপে বাইডেনকে সমস্যায় ফেলবে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক মহল৷

বিভিন্ন চিনা সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগের আধিকারিকগণ, চিনা কমিউনিস্ট পার্টি এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বসিয়েছে ট্রাম্প সরকার। পাশাপাশি সে দেশের বৃহৎ জ্বালানি তেলের সংস্থা সিএনইওসি-র (চায়না ন্যাশনাল অফশোর অয়েল কর্পোরেশন)-এর উপরও নিষেধাজ্ঞা বসিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন৷

চিনের রাষ্ট্রীয় সংস্থার সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেনের উপর নিষেধাজ্ঞা
এর জেরে, আমেরিকার কোনও সংস্থা বা ব্যবসায়ী চিনের কোনও রাষ্ট্রীয় সংস্থার সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেনে যুক্ত হতে পারবে না। এই সমস্ত নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি, পেন্টাগন আরও ৯টি চিনা সংস্থার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷ এই ৯টি সংস্থার মধ্যে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিমান নির্মাণ সংস্থা কোম্যাত এবং মোবাইল ফোন নির্মাণকারী সংস্থা শাওমি কর্পোরেশন।

পেন্টাগনের অভিযোগ
পেন্টাগনের অভিযোগ, চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে এই সমস্ত সংস্থাগুলির সরাসরি যোগ রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে, কালো তালিকাভুক্ত চিনা কম্পানিগুলিতে অ্যামেরিকার যে সমস্ত সংস্থা বিনিয়োগ করেছে, তাদের ২০২১ সালের ১১ নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে৷ ট্রাম্প সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে অ্যামেরিকান লগ্নিকারীরা নিশ্চিতরূপেই অসুবিধায় পড়বে।
