করোনা মহামারীর হাত ধরে কি দুর্ভিক্ষের দিকে এগোচ্ছে চিন, খাদ্য নিয়ে জিনপিংয়ের বার্তায় অশনি সংকেত
করোনা সংক্রমণ প্রথম ছড়াতে শুরু করে প্রথম চিন থেকে। তারপরেই সেটা গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং মহামারীর আকার নেয়। এই নিয়ে বিশ্বের সব দেশই রুষ্ট চিনের উপর। চিনের সঙ্গে অনেকেই বাণিজ্যে রাশ টেনেছে। তার উপরে লাদাখে ভারতের আগ্রাসন দেখার পর অনেকেই চিনের প্রতি অসন্তুষ্ট। যার জেরে ধুঁকতে শুরু করেছে কমিউনিস্ট দেশের অর্থনীতি। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জিনপিং খাদ্য নিয়ে দেশবাসীকে কড়া বর্তা দিয়েছেন।

খাদ্য নিয়ে বার্তা জিনপিংয়ের
দেশে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হচ্ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেেছন চিনের প্রেসিডেন্ট শি িজনপিং। তিনি বলেছেন, প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রমের পরেই প্রতিটি খাদ্য দ্রব্য তৈরি করা হয়। চাল, ডাল, গম উৎপাদনে কঠোর পরিশ্রম লাগে। তাই এই বিপুল পরিমান খাবার নষ্ট করা অত্যন্ত অপরাধজনক বলে মন্তব্য করেছেন জিনপিং।

মূল্যবৃদ্ধিতে উদ্বেগ
করোনা পরিস্থিতি সাময়িক কাটিয়ে ওঠার পর বিপুল ধাক্কা খেয়েছে চিনের অর্থনীতি। অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে খাবারের দাম। সাধারণ মানুষের পক্ষে প্রবল কষ্ট কর হয়ে উঠছে খাবার সংগ্রহ করা। তার উপরে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিতে রোজগারেও টান দিয়েছে। একাধিক বিেদশি সংস্থা চিন থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। ফলে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন।

কোণঠাসা চিন
করোনা মহামারী গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে চিন। অর্থনীতিতেও বিপুল ধাক্কা এসেছে। অনেক দেশই চিন থেকে সামগ্রি আমদানি করতে চাইছে না। একাধিক দেশ চিন থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। এমকী একাধিক দেশ চিনাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

আমেরিকার সঙ্গে বিবাদ
আমেরিকার সঙ্গে বিবাদ আগেই চলছিল চিনের। সেই বিবাদ চরমে উঠেছে করোনা সংক্রমণের পর থেকে আমেরিকার সঙ্গে প্রায় বাণিজ্য বন্ধ হতে বসেছে চিনের। যদিও জিনপিংয়ের দেশ খাদ্য উৎপাদনে অনেকটাই স্বনির্ভর। মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ খাদ্য চিন আমদানি করে থাকে। কিন্তু অর্থনীতিতে বিপুল ধাক্কায় উৎপাদনও ধাক্কা থেতে শুরু করেছে।