বাইডেনের আগমনে কি আমেরিকা নিয়ে স্টান্স পাল্টালেন জিনপিং! অভিনন্দন বার্তা ঘিরে জল্পনা
মার্কিন নির্বাচন নিয়ে চিনের পর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত মশকরা করা হয়েছিল। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশের নির্বাচনের প্রক্রিয়া বহুক্ষণ ধরে চলায় , তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে চিন। শেষে জো বাইডেনের জয়ের পরও চিন অভিনন্দন বার্তা প্রথমে জানাতে চায়নি তারা। এরপর শি জিনপিংয়ের কূটনৈতিক রণনীতি দেখে নেওয়া যাক।

জোকে শিয়ের বার্তা
এদিন , শি জিনপিংয়ের তরফে মার্কিন নবনির্বচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানানো হয়। এই অভিনন্দন বার্তার হাত ধরে দুই দেশ সংঘাতের আবহ থেকে বেরিয়ে আসবে বলে অনেকে মনে করলেও, বাস্তবে তা হতে পারে কিনা তা নিয়ে রয়েছে বহু জল্পনা। প্রসঙ্গত, শি জিনপিংয়ই এমন একজন রাষ্ট্রনায়ক যিনি একটি শক্তিধর দেশের প্রধান হিসাবে বিশ্বে সবচেয়ে দেরিতে বাইডেনকে অভিনন্দন জানালেন।

স্টান্স পাল্টে শি বার্তা
এদিন শি জিনপিং নিজের অভিনন্দন বার্তায় বাইডেনকে উল্লেখ করে লেখেন, চিন মার্কিন দুই দেশের সম্পর্ক কেবল দুটি দেশের নিরিখে গুরুত্বপূর্ণ তা নয়, এটি বিশ্বের আশা আকাঙ্খার কাছেই দামী। তিনি বলেন, সংঘাতহীন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতার হাত ধরে মতপার্থক্য মোছার তাগিদেই এগোচ্ছে চিন-মারকিন সম্পর্ক। বিশ্বে শান্তি ও ভালো কাজের ছাপ রাখতে আমেরিকা ও চিনের হাতে হাত রাখা প্রয়োজন। এই বার্তা থেকে স্পষ্ট যে ট্রাম্পকে ঘিরে শিয়ের যে অবস্থান ছিল , তার থেকে বাইডেনের প্রতি শিয়ের অবস্থান আলাদা। তবে রাষ্ট্রপতির গদি বলদ হলেও মার্কিন বিদেশ নীতি , বিশেষত চিন নীতি বদলাবেনা বলেই খবর ওয়াকিবহাল মহলের।

চিনের সর্বত বার্তা আমেরিকাকে
চিন সর্বোতভাবে বার্তা দিয়েছে আমেরিকার নব নির্বাচিত রাজনীতিবিদদের। চিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং কুইশান শুভেচ্ছা বার্তা জানান, মার্কিন নব নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে।

কেন এত দেরিতে চিনের অভিনন্দন বার্তা ?
প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষমেশ বাইডেনের জন্য গদি ছেড়ে হোয়াইট হাউজ ছাড়তে রাজি হন। আর তার সাথে সাথেই প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট হিসাবে বাইডনকে গোটা বিশ্ব মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবা মানতে বাধ্য হয়।